নীলক্ষেতে ডাকসুর ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপা, জানতোনা ঢাবি!


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ৮৮ হাজার ব্যালট পেপার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নীলক্ষেতের একটি মার্কেটে ছাপানোর কথা স্বীকার করেছেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি জানান, কিন্তু সহযোগী ভেন্ডর নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর ব বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। তার দাবি, ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান ও সংখ্যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের অভিযোগের একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্যালট পেপার ছাপানোর পর নির্দিষ্ট পরিমাপে কার্টিং করে তা ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যানিংপূর্বক মেশিনের পাঠযোগ্যতা নিশ্চিত করে সিলগালাকৃত প্যাকেটে সরবরাহ করে। যে ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিং করে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ সম্পন্ন করা হয় তা ‘নীলক্ষেতের কোনো দোকানে সম্ভব নয়।’
ঢাবি উপাচার্য জানান, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করতে তাদের সহযোগী ভেন্ডর নীলক্ষেতে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপে। কিন্তু তারা এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি।
উপাচার্য জানান, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কাছে জানতে চাইলে ভেন্ডর লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করে। তবে ব্যালট ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা কোনোভাবে প্রভাবিত করেনি। কারণ কাটিং, প্রি-স্ক্যান, সুরক্ষা কোড আরোপ ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সই-সিল ছাড়া কোনো ব্যালট ব্যবহারযোগ্য নয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ