শেরপুরে সংবাদ সংগ্রহ গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকরা


শেরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রীজপাড় এলাকায় সরকারি জমিতে অবৈধ স্থায়ী ভবন নির্মাণের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন আনন্দ টিভি ও দৈনিক জনকণ্ঠের শেরপুর প্রতিনিধি এবং শেরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. মারুফুর রহমান (৪৮)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাতেই শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি জমিতে প্রবাসী এবিএম সিদ্দিক অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করছেন এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সাংবাদিক মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে গোলাম রব্বানী টিটু (৫০), সুরিহারা পাইকুড়া গ্রামের মো. আব্দুল মান্নানের (মান্না) ছেলে এবং সরকারি জমিতে নির্মাণাধীন ভবনের সাইট ম্যানেজার মো. মজনু মিয়ার (৩০) নেতৃত্বে ৫–৬ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখে। হামলাকারীরা তার সংবাদ সংগ্রহের ক্যামেরা, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, পকেটে থাকা টাকা এবং তিন ফর্দের স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সই নিয়ে যায়।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, দুর্বৃত্তরা সাংবাদিক মারুফের মাথা ও চোখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং সরকারি জমি দখলের ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলে মামলা না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাংবাদিক মারুফুর রহমান বলেন, “প্রায় এক যুগ আগে মাইনর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলাম। এই হামলার পর আমার শারীরিক অবস্থা আরও নাজুক হয়ে গেছে।” তিনি আরও জানান, “সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও এখনও মামলা (এফআইআর) নথিভুক্ত হয়নি। অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরছে।”
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “বাদীর লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ