বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি নিয়ে ত্যাগীদের ক্ষোভ


বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের নবগঠিত কমিটিকে কেন্দ্র করে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করে একতরফাভাবে গঠনতন্ত্রবহির্ভূত সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা যুবদল।
জানা যায়, জেলা যুবদলের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা যুবদল ৫ সদস্যের একটি প্রস্তাবিত কমিটি জেলা দপ্তরে জমা করেছিল। ওই প্রস্তাবে নুর হোসেন খানকে আহ্বায়ক এবং শফিকুর রহমান স্বপনকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব উপেক্ষা করে জেলা যুবদল সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করে।
ত্যাগী নেতাদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সমন্বয়ক মো. হানিফের বিরুদ্ধে জুয়া খেলা ও পুলিশ সোর্স হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ও ১০ নং সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মহিপাল ছাত্র হত্যা মামলার আসামি জিয়া উদ্দিন বাবলুর সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ আছে। ৩৪ নং সদস্য মো. ইকবাল বহিষ্কৃত খুনি বাবলুর সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
৩৫ নং সদস্য আবু নাছের মুরাদ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে জনতার হাতে ধরা পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও নবগঠিত কমিটির আরও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের অবিলম্বে বাদ দিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক নুর হোসেন খান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সোহেল বলেন, “এই কমিটি দলের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
অন্যদিকে প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য সচিব শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, “গঠনতন্ত্রবিরোধীভাবে ৫ তারিখের পরের লোকজন এবং বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে ঘোষিত সমন্বয়ক কমিটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।”
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ