পাকিস্তানের দেওয়া শিক্ষা আজীবন মনে রাখবে ভারত: শেহবাজ শরিফ


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান ভারতকে এমন শিক্ষা দিয়েছে, যা দেশটি সারাজীবন মনে রাখবে। লন্ডনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পাকিস্তানি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ‘মারকা-এ-হক’ বলতে বোঝানো হয় পাকিস্তানের সামরিক অভিযানকে। এর সরকারি নাম অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস। ২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের আগ্রাসনের জবাবে এ অভিযান চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান সরকার দাবি করে, এই অভিযানে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী শৃঙ্খলা ও কৌশলগত প্রজ্ঞার মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে প্রতিহত করে এবং বিরাট বিজয় অর্জন করে। সরকার একে “বিরাট সাফল্য” আখ্যা দিয়ে পরে ঘোষণা করে যে, প্রতি বছর ১০ মে ‘ইয়াওমে মারকা-এ-হক’ হিসেবে পালিত হবে, যাতে এই সংঘাতে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করা যায়।
রেডিও পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন, যা সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পাদিত হয়েছে। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, এই চুক্তি “কাউকে উদ্দেশ করে নয়”; বরং দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের আস্থার প্রতিফলন।
চুক্তির অধীনে বলা হয়েছে, “এক দেশের ওপর আক্রমণ মানেই অন্য দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং উভয় দেশ পরস্পরের পরামর্শের ভিত্তিতে এর জবাব দেবে।”
প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বেসামরিক-সামরিক সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তিনি নিয়মিতভাবে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ–সংক্রান্ত সব বিষয়ে, এমনকি পররাষ্ট্রনীতিতেও আলোচনা করেন। ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি জানান, দারিদ্র্য হ্রাস, বেকারত্ব কমানো, বিনিয়োগ টানা এবং কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও খনিজ খাতে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার কাজ করছে। “বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো পাকিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগাতে পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রস্তুত,” বলেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিজের ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কাশ্মীরি ও ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠ তিনি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছেন। তিনি যোগ করেন, গাজায় যে দুর্ভোগ চলছে তা এক নজিরবিহীন দমন-পীড়ন ও নৃশংসতার উদাহরণ। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক নেতাদের সম্মেলন থেকে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল আসবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ