বিজয়ের সমাবেশে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা


তামিল সুপারস্টার ও নবগঠিত রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজাগম (টিভিকে)-এর প্রতিষ্ঠাতা থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হলেও দায়ের করা মামলার এফআইআরে বিজয়ের নাম নেই।
করুর টাউন থানায় টিভিকে-র করুর পশ্চিম জেলার সম্পাদক ভি পি মথিয়াঝাগনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অবহেলায় প্রাণহানি, জননিরাপত্তা বিপন্নকরণ ও সরকারি নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে। পরের দিন মামলায় নাম যুক্ত হয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এন আনন্দ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটিআর নির্মলকুমারের। তবে এফআইআরে বিজয় বা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আদাভ অর্জুনার নাম রাখা হয়নি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে বিজয়কে অভিযুক্ত করলে তা উল্টো সহানুভূতি তৈরি করতে পারে। তাই শাসকদল ডিএমকে কৌশলগতভাবে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
সরকার অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্ট বিচারপতি অরুণা জগদেসানকে প্রধান করে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। একই সঙ্গে মাদ্রাজ হাইকোর্টে স্বপ্রণোদিত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘটনার পর বিজয় নিহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং প্রতিটি পরিবারকে ২০ লাখ রুপি ও আহতদের ২ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দেন। তবে সরাসরি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮১ জন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে— অভিনেতা-রাজনীতিক কমল হাসান ঘটনাটিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলেছেন, আর বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছে।
সব মিলিয়ে, করুরের মর্মান্তিক এ ঘটনায় দায়-দায়িত্ব ও রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে উত্তাপ ছড়ালেও আপাতত আদালত ও তদন্ত কমিশনের ওপর নির্ভর করছে ডিএমকে সরকার।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ