• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স

রাজশাহী পবায় বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ

রাজশাহী ব্যুরো    ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্র পবা উপজেলা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলা প্রশাসনিক অঞ্চল। এর জনসংখ্যা প্রায় তিন লাখ ৬৮ হাজার আট’শ ৮৯ জন, এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৮৬ হাজার তিন’শ ৯৬ জন এবং মহিলা এক লাখ ৮২ হাজার চার’শ ৬১ জন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদে টিআর, কাবিখা-কাবিটা, এইচবিবি করণ ও সেতু/কালভার্ট কর্মসূচির অধীনে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল পৌঁছে গেছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে গ্রামীণ জনপদে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সততা ও দক্ষতার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্ববায়ন অফিসের দাযিত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁরা সবাই সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। তাদের দক্ষ নেতৃত্বে ও সহযোগিতায় ও পরামর্শে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে লাগছে উন্নয়নের ছোঁয়া। বিষয়টি পাখির চোখে না দেখলে বোঝা যাবেনা।

টিআর-কাবিখা-কাবিটা এসব প্রকল্পগুলোর আওতায় উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, পুননির্মাণ ও সংস্কার কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং বেকার ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিনদিন উন্নত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো- ফলে হয়ে উঠেছে চলাচলের উপযোগী। এসব উন্নয়নের ছোঁয়ায় একদিকে গ্রামীণ জনপদ সাজছে নতুন রূপে এবং অন্যদিকে তার সুফল পাচ্ছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে উপজেলার দর্শনপাড়া, হুজুরীপাড়া, দামকুড়া, হরিপুর, হড়গ্রাম, হরিয়ান, বড়গাছি ও পারিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রামীণ রাস্তায় মাটির পরিবর্তে ভাংড়ি ইট দিয়ে সংস্কার, ইটের হেরিং বন্ড রাস্তার কাজ ইতোমধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এইসব এলাকার মাটির রাস্তায় বৃষ্টিতে পানি জমে কাদা হয়ে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হতো। এই কাজগুলো করায় আর কাদা হচ্ছেনা ফলে সুফল পাচ্ছেন গ্রামীণ জনপদের মানুষ। সেইসাথে বেকার যুব ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে চালু করা হয়েছে ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এসব কাজের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিয়মিত নজরদারি এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তদারকিতে বাস্তবায়ন হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ, ফলে প্রকল্পের কাজগুলো ভাল এবং টেকসই হয়েছে বলছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা), গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), এইচবিবি করণ, সেতু/কালভার্ট কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় এক কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার নয়’শ পঁয়ত্রিশ টাকা ব্যয়ে ১৩২.১৪৬২ মেট্রিক টন চাল ও ১৩২.১৪৬২ মেট্রিক টন গমের বিনিময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ১০৪টি প্রকল্পের কাজ। টিআর প্রকল্পের আওতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় দুই কোটি ৬৪ লাখ ৮১ হাজার পাঁচ’শ এগারো টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৬০টি প্রকল্পের কাজ। এইচবিবি করণ প্রথম পর্যায় ৮০ লাখ ৫১ হাজার নয়’শ পনেরো টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ১টি প্রকল্পের কাজ। এছাড়াও ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার দুই’শ নব্বই টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ২টি সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এসব কাজের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকাবাসির অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ টিআর-কাবিখা-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণ ও গ্রাম-অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়েছে। বড়গাছী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম ও পারিলা ইউনিয়নের উজিরপুকুর গ্রামের বাসিন্দা বাবর আলী বলেন, ‘আগে মাটির রাস্তা ছিল। বর্ষার দিনে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা কাদা হতো, আবার বৃষ্টি হলে রাস্তার মাটি ধ্বসে যেত, গাড়ি নিয়ে অথবা পায়ে হেটে যাতায়াত করা যেত না। এখন ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তা করায় খুব ভাল হয়েছে।’

দামকুড়া ইউনিয়নের শীতলাই (বাথানবাড়ী) গ্রামের বাসিন্দা মুনসুর রহমান বলেন, ‘মাটির রাস্তায় ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করায় খুব ভাল, উন্নত এবং টেকসই হয়েছে। এ কারণে আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশি।’ হরিপুর ইউনিয়নের খোলাবোনা গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজকর্মী হাসিনুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে খুব সুন্দর এবং যুগপোযোগী উদ্যোগ। প্রকল্পের এই কাজ ভাল এবং টেকসই হবে।’ হরিপুর ইউনিয়নের বাগানপাড়া গহমাবোনা গ্রামের গৃহবধূ আকলিমা বেগম বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতে এখন আর দুর্ভোগ নেই। গ্রাম থেকে শহরে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতসহ সহজে মালামাল বাজারে নিয়ে যেতে পারছে।’

ইউসেপ বাংলাদেশ রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘টিআর প্রকল্পের আওতায় কারিগরি শিক্ষা প্রসারে যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে যে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজে লাগবে। এরকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে কারিগরি শিক্ষার আরোও উন্নয়ন ঘটবে।’ নওহাটা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর আলী জানান, ‘কারিগরি অন্তর্ভুক্তিতে ২টি ট্রেড চালু আছে। টিআর প্রকল্পের আওতায় কারিগরি শিক্ষার প্রসারে যন্ত্রপাতি ক্রয় করে দিয়ে যে সহযোগিতা করা হয়েছে তা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার।’ খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী জানান, ‘কারিগরি অন্তর্ভুক্তিতে তিনটি ট্রেড চালু আছে। আগের চেয়ে কারিগরিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এখন একশত শিক্ষার্থী আছে।’ হড়গ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন জুয়েল বলেন, ‘মাটি দিয়ে যদি রাস্তা সংস্কার করা হতো তাহলে বৃষ্টি হলে কাদাতে গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও যানবাহন চলাচলে সমস্যা হতো। ইটের খোয়া, বালু দিয়ে রাস্তা সংস্কার করার কারণে গ্রামের মানুষ শহরের ছোয়া পাচ্ছে আবার কাদামুক্ত থাকতে পারছে।’
পারিলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল কাসেম বলেন, ‘রোলার দিয়ে রাস্তা ডলে সমান করে সাইডে এজিং করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পানিও জমেনা আবার রাস্তার সাইড ভেঙ্গেও যায় না।’ দর্শনপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন জানান, ‘সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা জরুরী। ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বেকার যুব ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।’

হরিয়ান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ‘আগে বর্ষার পানি ও কাদায় এসব রাস্তায় মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হতো। ভাংড়ি ইটের খোয়া, বালি দিয়ে রোলার করে দুই পাশে এজিং দেওয়ার ফলে এখন রাস্তা উচু হয়েছে।’ হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন সেলিম বলেন, ‘গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব সহজে ইউনিয়ন পরিষদেই নামমাত্র খরচে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি শিখতে পারবে খুবই সুন্দর উদ্যোগ যা প্রসংশার দাবিদার।’

দর্শনপাড়া ইউনিয়নের ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজাদ আলী বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় যে বরাদ্ধ পেয়েছি তা মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, রাস্তাঘাট ও ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজে ব্যবহার করেছি। সুষ্ঠভাবে কাজ করা হয়েছে যা টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।’ হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে গ্রামের শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মকর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবে।’ দামকুড়া ইউনিয়নের ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় ভাংড়ি ইট ও ভরাট বালু ফেলে রোলার দিয়ে এজিং করে উন্নতভাবে রাস্তার কাজ করা হয়েছে যা পরবর্তীতে কার্পেটিং এর উপযোগী হবে।’ হরিয়ান ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবের আলী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে চলাচলে আর কোন সমস্যা হচ্ছে না। এখন খুব সহজে গাড়ি নিয়ে অথবা পায়ে হেটে যাতায়াত করতে পারছে। মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে।’ হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘টিআর, কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের প্রতিটি কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ যেন স্বাছন্দে চলাচল করতে পারে। আবার কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ কাচা রাস্তাঘাটসহ স্থাপনাগুলো যেন টেকসই হয়। পরিষদে এসে কেউ যেন হয়রানি না হয়। সকল নাগরিক সুবিধা পায়, কাজ নিয়ে কেউ যেন অভিযোগ করার কোন সুযোগ না পায় সেই লক্ষ্যেই শতভাগ সুষ্ঠভাবে কাজ করছি। প্রকল্পের যে কাজগুলো করা হয়েছে সে গ্রামের দৃশ্য পাল্টে এখন শহরের রূপ নিচ্ছে।’

পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুরসেদ বলেন, ‘টিআর, কাবিখা-কাবিটা এসব প্রকল্পগুলোর আওতায় মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার স্থাপনা নির্মাণ এবং মাঠ, রাস্তাঘাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারসহ সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে ইউনিয়ন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ করছি। শতভাগ সুষ্ঠভাবে কাজ করার চেষ্ঠা করেছি যেন এসব কাজ টেকসই হয়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে উপজেলা প্রশাসনসহ ইউনিয়নবাসীর সহয়োগীতা চাই। তাঁরা আমার পাশে থাকলে যে কোন কঠিন কাজ সহজেই হয়ে যাবে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাসির বলেন, ‘গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে এই প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় তদারকির মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে শতভাগ কাজগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর সুফল পাচ্ছে, এটিই আমাদের বড় অর্জন।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ‘জনগনের সেবক হিসেবে সরকারি সেবাসমুহু দ্রুতজনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সুন্দরভাবে স্বচ্ছতার সাথে প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। কাজের বিষয়ে কোনো রকম অনিয়মের সুযোগ নেই। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি তাদেরও কাজ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। উপজেলায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হবে উন্নত বাংলাদেশ।’ গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো ইউনিয়ন পরিষদ। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলাকার এসব উন্নয়ন ও সেবায় সরাসরি উপকৃত হচ্ছে জনসাধারণ এবং সহজ হচ্ছে তাদের জীবন। গ্রামীণ জণপদের উন্নয়ন ও প্রযুক্তি বিকাশের এই চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে গ্রাম-শহরের পার্থক্য ঘুচে বাস্তবে রূপ নেবে এক ‘নতুন বাংলাদেশ’ এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দাগনভূঞায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
দাগনভূঞায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
ফেনীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা অনুষ্ঠিত
ফেনীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা অনুষ্ঠিত
পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ