রাজশাহীতে ঢাকের বাদ্যে সাড়ম্বরে মহাঅষ্টমী পালিত


শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী উলুধ্বনি, শঙ্খসুর ও ঢাকের বাদ্যে সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে। অষ্টমী তিথির শুরুতেই রাজশাহীর বিভিন্ন মন্দির-মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিহিত পূজা। দেবীকে অলঙ্কারভূষিত করে ভক্তরা পূজা অর্চনায় অংশ নেন। অষ্টমীর দিনে দেবী গৌরীরূপে পূজিত হন।
সকাল ১১টায় নগরীর ত্রিনয়নী ও টাইগার মন্দিরে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার। কুমারপাড়ার অরূপ রতন দাস ও ঝিলিক দাসের একমাত্র কন্যা, ছয় বছরের শিশু শ্রেণির ছাত্রী অধরা দাসকে মাতৃরূপে পূজা করেন ভক্তরা। দেবীর প্রতিরূপে অধরাকে স্নান করিয়ে, আসনে বসিয়ে, ফুল, চন্দন, ধূপ, ধুনো ও প্রসাদ নিবেদন করা হয়। বছর ঘুরে কৈলাশ থেকে মর্তে দেবীর এই আবির্ভাবে ভক্তরা বিশ্বশান্তি, দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের কল্যাণ কামনা করেন। অষ্টমীর দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ভোগ গ্রহণ ও দেবী দর্শনে ব্যস্ত সময় কাটান।
এদিকে, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ও প্রার্থনায় অংশ নেন। উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় উৎসবের প্রশাংসা করেন তিনি।
অন্যদিকে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান সকাল থেকে বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে শান্তিপূর্ণ করতে আরএমপির সাড়ে ৯০০ পুলিশ সদস্য নগরীর ১০২টি মণ্ডপে দিন-রাত কাজ করছেন। প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও নগরীর মুন্নুজান স্কুল সংলগ্ন পদ্মা নদীর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা থাকলেও, যানজট ও শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে পুলিশ লাইন সংলগ্ন নদীর ঘাট ও আই বাঁধ এলাকায় অতিরিক্ত বিসর্জনের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ