অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর বিএনপি : আমিনুল হক


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের সব ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ঢাকা-১৬ আসনের নিজ নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি রূপনগরে বেরিবাধ, মিরপুর ২ নম্বর পূজা মন্ডপ, পল্লবীর বিন্দাবন, উত্তর কালশি ও বাউনিয়াবাধে সার্বজনীন মন্দিরে গিয়ে পূজারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আমিনুল হক বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের যে ৩১ দফার কর্মপরিকল্পনা দিয়েছেন, তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দফা হলো ধর্মীয় স্বাধীনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান। বাংলাদেশে যে ধর্মের যে উৎসব হবে- মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান- আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেই উৎসবে সহমর্মিতা প্রকাশ করব। এর মধ্য দিয়েই প্রকৃত সম্প্রীতির সমাজ গড়ে উঠবে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। যখনই কোনো মন্দিরে হামলা হয়েছে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, তা বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর প্রমাণিত হয়েছে- এসব হামলা আওয়ামী লীগ নিজেরাই করেছে, যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আস্থার বার্তা দিয়ে আমিনুল হক বলেন, আমি কখনো বলব না আপনাদের বিএনপি করতে হবে। আপনারা যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন। তবে আপনাদের সামাজিক, পারিবারিক ও মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সবসময় পাশে আছি এবং পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের ‘সংখ্যালঘু’ বলেছে। কিন্তু আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখনোই আপনাদের সংখ্যালঘু মনে করেন না। আপনারা আমাদের ভাই, প্রতিবেশী, বাবা-মা, ভাই-বোন ও সন্তান। বিএনপি আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।
শেষে আমিনুল হক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বিএনপি সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই এমন এক বাংলাদেশ যেখানে থাকবে না কোনো হানাহানি বা বিশৃঙ্খলা- থাকবে শুধু শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ