মানিকগঞ্জ মহাঅষ্টমীতে প্রতিমা পরিদর্শন করলেন বাবলু


মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩০ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজা মহা অষ্টমীতে প্রতিমা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জৈষ্ঠ্য পুত্র মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানিকগঞ্জ-০১ আসন , ঘিওর দৌলতপুর ও শিবালয় ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিদ ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু।
এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘিওর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টু,উপজেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির বিএনপি নেতা মোঃ সফিউল আলম বিল্টু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার মাষ্টার, ঘিওর উপজেলা বিএনপি নেতা মীর কায়সার,ঘিওর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস মোঃ সেলিম মিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ পূজা মন্দির গঙ্গাচরন মালাকার বাড়িতে প্রতিমা পরিদর্শন শেষে ড.খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন,আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গা পূজার মহা অষ্টমী। আমার এলাকায় এত বড় পূজা হয় আমি ছোটবেলা থেকেই জানি। এখানে আমার বাবা, মা সবাই আসতেন। আমার পরিবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, তাই আমরা একে অপরের সাথে মিলে মিশে বসবাস করি। কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নাই। দলীয় নির্দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহা উৎসব যাতে কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই নির্বিঘ্নে পালিত হয় সে দিকে আমরা সবাই তৎপর রয়েছি। পূজা নিয়ে কোন রকম বিশৃঙ্খলা ও অপকর্ম সহ্য করা হবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন,আপনারা সবাই জানেন আমার বাবা বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অতীতে বিএনপিকে রক্ষায় যথেষ্ট অগ্রনী ভূমিকা পালন করে গেছেন। এ অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমরা দলীয় কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিনি ।
গত ৫ ই আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকার পতন ঘটে। স্বৈরাচারী সরকার পতনের ফর এখন আমরা স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরে খুব আনন্দিত। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটে নিশ্চিত ক্ষমতায় আসবে।
একটি রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হবে তা এই ৩১ দফায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাই ৩১ দফা সবাই পড়বেন, বুঝবেন অন্যকে বোঝাবেন। আগামীতে রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কোন বিকল্প নেই। কেননা এই ৩১ দফায় আরো লিপিবদ্ধ রয়েছে দেশে বেকার যুবকের জন্য বেকার ভাতা প্রদান করা হবে এবং এক ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রধান মন্ত্রী হতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন,আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-০১ আসন ঘিওর দৌলতপুর ও শিবালয় থেকে ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি আশা করি দল আমাকে ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন দিবে। আমি এমপি নির্বাচিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য কৃষি সহ নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর,চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ