নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে বিএনপি-জামায়াত


বিএনপি পিআর পদ্ধতি চায় না। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকেই এখন নজর দেয়া। এমনটাই বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে, সংসদের উচ্চ ও নিম্ন দুই কক্ষেই পিআর চাইলেও জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেবে তার দল।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরুর পাশাপাশি এ নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।
জাতিসংঘ সফরে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারও স্পষ্ট জানান, বিএনপি পিআর পদ্ধতি চায় না। দেশের মানুষও পিআর বোঝে না।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তো আমাদের বক্তব্য একেবারে সুস্পষ্ট। আমরা পিআর পদ্ধতিতে যাব না। আর এ দেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না, এবং এটা তারা বোঝেও না।’
নির্বাচনের আগে পাঁচদফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। যুক্তরাষ্ট্র সফররত দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা সহ সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চান তারা।
তাহের বলেন, ‘জি, আমরা দুই কক্ষেই পিআর চাচ্ছি। আপনারা জানেন যে ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দল আমরা ছিলাম। এর ভেতরে ২৫ দল পিআর-এর পক্ষে। এর মধ্যে পার্থক্য হলো অনেকে উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, অনেকে নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি যে আমরা নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই। আমরা উপরের দিকেও পিআরের কথা বলিনি। সেগুলো আমরা পরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করব।’
পিআরের দাবিতে জামায়াত কর্মসূচি চালু রাখলেও নায়েবে আমির জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে তার দল। আর বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা কোনো দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পক্ষে নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগেই বলেছি আপনারা জানেন যে, আমরা কোনো পারটিকুলার পলিটিক্যাল পার্টিকে ব্যান করার পক্ষে নই।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ