গাজার জলসীমায় প্রবেশ করলো ত্রাণবাহী জাহাজ


ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি জাহাজ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে জাহাজটি ইসরাইলি নৌবাহিনী জব্দ করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। আরও ২৩টি জাহাজ পথে রয়েছে। সেগুলোও খুব শিগগিরই গাজার জলসীমায় প্রবেশ করবে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদন মতে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা লাইভ ট্র্যাকার দেখা যাচ্ছে, মিকেনো নামে একটি জাহাজ বর্তমানে গাজার জলসীমায় রয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী এটাকে আটক করেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বর্তমানে ২৪টি জাহাজ গাজার পথে রয়েছে। ইসরাইলি নৌসেনারা জাহাজগুলোর সেগুলো আটক করার চেষ্টা করছে।
গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে রওয়ানা দেয়া নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরাইলি বাধার মুখে পরে। বহরের বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে ইসরাইলি নৌ সেনারা। বন্ধ করে দেয়া হয় নৌযান থেকে চলা সরাসরি সম্প্রচার।
পরে নৌযানে থাকা মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে সেখানেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে আছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আটককৃতদের ইসরাইলের একটি নৌ বন্দরে নেয়া হচ্ছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নৌবহরের অন্তত ৪০টি জাহাজ আটক করেছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। জাহাজগুলোতে থাকা পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করে ইসরাইলের একটি বন্দরে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্লোটিলা নৌবহরকে বাধা দেয়া ও বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তুরস্ক এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ব্রিটিশ লেবার পার্টির সাবেক নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। আর নৌবহরে বাধা দেয়া ও কয়েকজনকে আটক করাকে অপহরণ আখ্যা দিয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ।
গাজামুখি ত্রাণ বহর আটকে দেয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে ইতালিতে রাতেই দেশটির রাজধানী রোমের সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন শুক্রবার ধর্মঘট ডেকেছে। এছাড়া বিক্ষোভ হয়েছে জার্মানি, তুরস্ক, গ্রিসসহ কয়েকটি দেশে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ