চৌগাছার ভারত সীমান্তের বাওড় থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার


যশোরের চৌগাছার ভারত সীমান্তের কুলিয়ার বাওড় থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগণ বাওড়ের পটের নিচে মানুষ সদৃশ্য কিছু দেখতে পেলে তারা চৌগাছা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। তবে কঙ্কালটি কুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বলে দাবি করছেন তার ছেলে সোহাগ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ময়না তদন্তের জন্য কঙ্কালটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৯ মাস আগে কুলিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) নিখোঁজ হয়। সে সময় আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে তার কোন সন্ধান পাননি। একপর্যায়ে তারা আব্দুর রাজ্জাকের ফিরে আসার বিষয়টি ছেড়ে দেন। বুধবার বিকেলে কুলিয়া গ্রামের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাওড়ে ঠেলা জালে মাছ ধরতে গেলে পটের নিচ থেকে মানুষের কঙ্কাল বের হয়ে আসে। তিনি বিষয়টি দেখে গ্রামবাসীকে খবর দিলে স্থানীরা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাঝরাতে কঙ্কাল টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
উদ্ধারকৃত কঙ্কালের সাথে থাকা জামাকাপড় দেখে এটি আব্দুর রাজ্জাকের কঙ্কাল বলে নিশ্চিত করেন তার ছেলে সোহাগ হোসেন ও স্ত্রী শাহানারা খাতুন।
নিখোঁজ হওয়া আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ হোসেন জানান, তার পিতা প্রায় সাড়ে নয় মাস আগে নিখোঁজ হয়। সে সময়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বাওড়ের পানিতে কঙ্কালের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং কঙ্কালের যে পোষাক ছিল সেটি দেখে বুঝতে পারি এটি আমার আব্বা।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আব্দুর রাজ্জাক কৃষি কাজের পাশাপাশি ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল কামলা (জোন) হিসেবে নিয়ে আসতেন। নিখোঁজের সময় সে ভারতে গিয়েছিল কামলা (জোন) হিসেবে। এরপর আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে কেউ হয়তো তাকে মেরে বাওড়ের ধাপের নিচেই চাপা রাখে। একাধারে বৃষ্টির কারণে ওই ধাপ ধীরে ধীরে কুলিয়া গ্রামের পাশে আসে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে যাই এবং মাঝ রাতে কঙ্কাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি"।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ