চোখের জলে দুর্গাকে বিদায়


প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর দুপুর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশের নদী, পুকুর আর জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়।
এবার রাজধানীর বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর ১০টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন চলছে। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দুপুরের পর থেকেই ভক্ত, পূজারী ও দর্শনার্থীদের ঢল নামে। জয়ধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেও একই চিত্র দেখা যায়।
এছাড়া, রাজশাহী, সিলেট, রাঙ্গামাটি, খুলনাসহ দেশের সব জেলায় প্রতিমা বিসর্জন চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, আজ ভোর থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। অঞ্জলির মাধ্যমে দেবীর কাছে রোগ, শোক, ক্লেশ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। অঞ্জলি শেষে দর্পণ ও ঘট বিসর্জনের মাধ্যমে দশমীর পূজার আচার শেষ হয়। এরপর দেবীকে বরণ করে সিঁদুর খেলায় মাতেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এরপর শোভাযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জন স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখর ছিল পরিবেশ।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। প্রতিমা নিমজ্জনের মাধ্যমে মর্ত্যে কণ্যারূপে আসা উমা ফিরে যান কৈলাশে।
ভিওডি বাংলা/ দিল/ এমএইচ