উপদেষ্টাদের ঘনঘন বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে প্রায় ১৪ মাস হলো। এই সময়ে সরকারের উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা তৈরি হতে দেখা গেছে।
এ বছরের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে দুই দফায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এসব জায়গায় বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠান।
আরেক ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও গত এক বছরে অন্তত তিন বার বিদেশ সফর করতে দেখা গেছে। গত বছরের অক্টোবরে সুংযুক্ত আরব আমিরাত, নভেম্বরে সুইজারল্যান্ড, চলতি বছরের জুনে মরক্কো সফরে যান।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য দুইজন ছাত্র উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের উদাহরণ টেনে বলেন, এই সংস্কৃতি ছিল বিগত সরকারের আমলে। আগে আওয়ামী লীগের সময়ে যা হয়েছে এখনো কেন সেই ধারাবাহিকতা দেখা যাবে?"
সরকারি নথিপত্রে দেখা গেছে, উপদেষ্টা কিংবা আমলারা গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে যে বিদেশ সফর করছেন তার মধ্যে অনেক সফরের গুরুত্ব কতখানি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে।
সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, "বিদেশ সফরের নামে আমাদের দেশে নৈরাজ্য চলে। এখানে কোনো নিয়মনীতি নাই। বিবেকের দায় নেই। সুযোগ পেলেই বিদেশ যায়, অর্থের অপচয় হয়, কাজের ক্ষতি হয়। এটা একটা নেশার মতো হয়ে যায়।"
তিনি বলছিলেন, বর্তমান সরকার জুলাই-অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন সরকার। এই সরকার অতীতের নিয়মের পরিবর্তন আনতে পারেনি। বরং তাদের সেই পথেই হাঁটছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
ভিওডি বাংলা/ এমপি