পাংশায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব সম্পন্ন


বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীর পাংশায় বিজয়া দশমীর দিনে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিভিন্ন নদী ও ঘাটে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) সকাল থেকেই মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। তারা দেবীর পায়ে অঞ্জলি অর্পণ করে বিজয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। এরপর বিকালে পাংশা উপজেলা উদযাপন পরিষদ পাংশা আদি মহাশ্মশানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করেন।
বিকাল থেকেই বিসর্জন স্থলে বিভিন্ন মন্দির থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন বয়সের নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন।
পাংশা উপজেলায় এ বছর মোট ৯৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন ও প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
উৎসবকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভক্ত-অনুরাগীদের ভিড়, ঢাকের বাজনা আর আনন্দোল্লাসে মাতে সনাতনীরা। ভক্তরা জানান, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পূজা ও বিসর্জন সম্পন্ন হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।
পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিধান কুমার বিশ্বাস বলেন, “এ বছর কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় অত্যন্ত সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে।”
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গাকে বিদায় জানালেও আগামী বছরের পূজার জন্য অপেক্ষা শুরু হলো আজ থেকেই।
প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম আবু দারদা, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন, উপজেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রান্তোষ কুমার কুন্ডু, সদস্য সচিব বিধান কুমার বিশ্বাস, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক তমাল তরু পোদ্দারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সকল কার্যক্রম শেষে রাত ৮টায় প্রতিমা বিসর্জন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ