রাজধানীতে ফাঁকা সড়ক
ফাঁকা রাস্তা যেন ঈদের আমেজ


বৈরী আবহাওয়া আর টানা ছুটি-এই দুই কারণে রাজধানীর সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সাধারণত ব্যস্ত নগরীতে গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, রিকশা কিংবা অটোরিকশার চাপ চোখে পড়ে; তবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। অনেকটা ঈদের সময়ের মতোই ফাঁকা রাস্তাঘাট।
যানজটের জন্য কুখ্যাত বাড্ডা-রামপুরা সড়কেও নেই জ্যামের ছিটেফোঁটা। রামপুরা ব্রিজ থেকে বসুন্ধরা কিংবা মালিবাগ-মৌচাকের মতো ব্যস্ত এলাকাতেও অনায়াসে যাতায়াত করা যাচ্ছে। রাস্তায় গণপরিবহন ছিল তুলনামূলক কম, রিকশা ও অটোরিকশার সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো কম। ছুটির পাশাপাশি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষের চলাচলও ছিল সীমিত।
রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনে কথা হয় উবার চালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই রাস্তায় মানুষের চাপ কম। অনেকে লম্বা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। বৃষ্টির কারণেও লোকজন একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না। ঢাকার রাস্তাগুলো এখন ঠিক ঈদের সময়ের মতো ফাঁকা। তবে শহরের ভেতরে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও মহাসড়কে যানজট রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, রাস্তায় যাত্রী না থাকায় সারাদিনে এখনও কোনও ট্রিপ পাননি।
একই চিত্র দেখা গেছে শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, শ্যামলি, মহাখালী, উত্তরা, সায়দাবাদ ও যাত্রাবাড়ীর মতো ব্যস্ত এলাকাতেও। গণপরিবহনের পাশাপাশি প্রাইভেট কার ও সিএনজির চাপও ছিল অনেক কম।
রামপুরা ব্রিজে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আরিফ বলেন, “প্রতিদিনই এখানে ভিক্টর, আকাশ বা অনাবিল বাস পাওয়া যেতো। আজ ১০ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করেও একটি বাস পাচ্ছি না।”
আরেক যাত্রী রবিন জানান, তিনি মহাখালী যাবেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও কাঙ্ক্ষিত বাস পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে টানা চার দিনের ছুটি। এ কারণে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টানা বৃষ্টি। ফলে ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন-দুই-ই কমে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ফাঁকা ও শান্ত পরিবেশ।
ভিওডি বাংলা/জা