খুব শিগগির পাবনা-ঢাকা রেল চলাচল শুরু হবে : রেলসচিব


খুব শিগগির ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেল রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচরের খাস চরে এক সমাবেশে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বেড়া উপজেলার খয়ের চর, ঢালারচর, কাজীরহাট সরেজমিন পরির্দশন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: এহছানুল হক ও বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম শোভন।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়াও পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি একেএম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকারসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও রাজনীতি দলের নেতৃবৃন্দের সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দুই সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পাবনা-ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু, জ্বালানি ব্যয় ও সময় হ্রাস, এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করার জন্য কাজিরহাট ফেরীঘাট-খয়ের চরে চালু করা, সংশ্লিষ্ট অনান্য সংযোগ সড়ক চালু প্রস্তাব, ঢালার চর থেকে পদ্মা রেল সেতুর সাথে সংযুক্ত করার জন্য ঢালারচর-রাজবাড়ীী রেল ব্রীজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরির্দশন করেন।
পরে দুই সচিব সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে তাদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানুষের দাবী এবং তাদের অভিজ্ঞতা সরকারের নীতি নির্ধারনী মহলে জানানো হবে। তবে এখানে অনেক আশার আলো রয়েছে বলে তারা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে পাবনা-কাজীরহাট-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় যমুনা সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি এলাকার মানুষ মনে রেখে এখনও আশায় বুক বেধে আছে। আমরা মানুষের প্রত্যাশার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে এই সরেজমিন পরির্দশনের অনুরোধ করেছি। আশা করছি সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা মানুষের পালস বুঝে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরবে। আশা করি এ সব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ