বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ভয়াবহ যানজট, দিশেহারা হাজারো যাত্রী


চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর প্রধান সড়কে আবারও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে গুনাগরী খাসমহল চৌমুহনী থেকে শুরু করে দক্ষিণে কালীপুর স্কুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এবং চৌমুহনী থেকে উত্তর দিকে সাহেবের হাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় হাজারো ছোট-বড় পরিবহন আটকে থাকায় সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষ করে এই দীর্ঘ জ্যামের কারণে আটকে পড়েছে জরুরী রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও, যা জনদুর্ভোগকে চরমে পৌঁছে দিয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গুনাগরী খাসমহল চৌমুহনী এলাকায় বাঁশখালীর প্রধান সড়কের সরু অংশ, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এবং অবৈধ সিএনজি-অটোরিকশার দৌরাত্ম্যের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এর ফলে গুনাগরী থেকে কালীপুর স্কুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় পথচারীরাও হাঁটার জায়গা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
অন্যদিকে, উত্তর দিকে সাহেবের হাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আটকে আছে প্রায় হাজার খানেক ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক এবং অন্যান্য পরিবহন।
এই দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা শত শত যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন। সময়মতো অফিস, পরীক্ষা কিংবা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেকের।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, জ্যামের কারণে সড়কের মাঝখানে বেশ কয়েকটি জরুরী অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে। এর মধ্যে থাকা গুরুতর রোগীদের নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েন রোগীর স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, যানজট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দেও তা একচুল নড়ানো সম্ভব হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব অ্যাম্বুলেন্সকে শেষ পর্যন্ত উল্টো পথে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বাঁশখালী প্রধান সড়কের এই তীব্র যানজটের মূল কারণ হিসেবে সড়কটির অতিরিক্ত সরুতা, বিভিন্ন বাজারে ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি, বাস স্ট্যান্ড না থাকায় সড়কের উপর যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা এবং লাইসেন্সবিহীন সিএনজি-অটোরিকশার লাগামহীন চলাচলকে দায়ী করছেন সচেতন মহল।
কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে দেখা যায়। বারবার এই সড়কের সম্প্রসারণের দাবি উঠলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানো এবং বিশেষত জরুরী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের পথ সুগম করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ