রাজশাহী বাঘায় সবজি বাজার অস্থির, কাঁচা মরিচে আগুন!


রাজশাহীর বাঘায় সকল প্রকার সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে ।এর ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ এর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় তিনগুন বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন এবং অস্থির করে তুলেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টির কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ,নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্যের দাম বাড়লেও প্রশাসনের এ বিষয়ে কোন নজরদারি নেই।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহী অঞ্চলে কাঁচা-মরিজ উৎপাদনের হিসেব করতে গেলে সর্ব প্রথম নাম শোনা যেত বগুড়া’র। কিন্তু এখন শুধু বগুড়াতে নয়, জেলার বাঘাতেও বিস্তৃত চরাঞ্চল-সহ সমতল এলাকার মাঠে নানা প্রকার সবজির পাশা-পাশি ব্যাপক হারে উৎপাদন হয় কাঁচা মরিচ। এ অঞ্চলের কৃষকরা জানান, অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সকল কৃষকই কম-বেশি মরিজ চাষ করে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ব্যপী বৃষ্টির কারনে এখন বিভিন্ন সবজির পাশা-পাশি মরিচের দাম আকাশ চুম্বি হয়েছে। যে মরিচ গত এক সপ্তাহ পূর্বে বিক্রি হয়েছে, ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩২০ টাকায়। ফলে মানুষের জীবন-মান অস্থির হয়ে উঠেছে।
বাঘার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মানিক মিঞা জানান, অবিরাম বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থায় এ অঞ্চলের কৃষক ও ভোক্তারা। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল সবজি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে ঠিক ভাবে মরিচ তুলতে পারছেন না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে পাইকারি বাজারে দাম ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। উপজেলার তেঁথুলিয়া বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে । কৃষকরা মরিচ তুলতে পারছেন না। তাই পাইকারির দাম এখন অনেক বেশি। তিনি আরো জানান, বর্তমানে খুচরা বাজারে বেগুন ৯০ টাকা সিম ২০০ টাকা, করলা ১১০ টাকা পটল ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা,পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, টমেটো ১৭০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কচু ৩৫ টাকা চিচিংগা ৭০ টাকা কাকরইল ৮০ টাকা, লাউ একপিচ ৫০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ টাকা, সজনে ডাটা ২০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা দরে বিক্রী করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর এই সময়ে বৃষ্টি হয়। তবে বিগত বছর গুলোতে কাঁচা মরিচ এবং সকল প্রকার সবজির দাম এতোটা বাড়েনা । তাঁদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে সকল প্রকার পন্যের দাম কমতে বাধ্য। লোকজন এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি জোরদার করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা ডলি জানান, আবহাওয়াগত কারনে বাজারে কাঁচা মরিচ সহ সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এখন থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে। কেউ যদি অস্বাভাবিক ভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ