রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় টানা বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নে অল্প সময় স্থায়ী এই ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঝড়ে টিনশেড ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং আগাম আমন ধানের জমির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে শিশুসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুতুব হাজীরহাট এলাকার বাসিন্দা নাজমুল আমিন বলেন, ‘হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে আমার পাকা ঘরের টিন উড়ে গেছে, দেয়াল ভেঙে পড়েছে। আমার ছেলে মাফি, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র, মাথায় আঘাত পেয়েছে ও পা ভেঙেছে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
নোহালী ইউনিয়নের সরদারপাড়ার ফনি বেওয়া বলেন,‘বাবার দুইটা ঘর মোর, দুইটায় উরি গেইছে। এলা কোটে থাকং মুই।’
নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে প্রায় চার শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন জানান, তাদের ইউনিয়নেও প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর পুনর্নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভিওডি বাংলা/জা