যাত্রাপুরে দুধকুমর-ব্রহ্মপুত্র ভাঙনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার


অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের দুধকুমর, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার প্রায় এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমির মৌসুমি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি অন্তত ১০টি পয়েন্টে তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ভাঙনের কারণে বেশ কিছু গ্রামীণ সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাত থেকে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া, চড় যাত্রাপুর ও গারুহাড়া এলাকায় দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। এতে প্রায় ৭০টি পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। আরও শতাধিক পরিবার ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দফতরে যোগাযোগ ও মানববন্ধন করেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা পাননি তারা। ফলে ঘরবাড়ি, জমি এমনকি পূর্বপুরুষদের কবরস্থানও নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
চর বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা ছামছুল আলম বলেন, “এক রাতেই দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আমাদের দুই গ্রামের প্রায় ৭০টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।”
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান মুঠোফোনে জানান, “উজানের ঢলে রবিবার রাত থেকে দুধকুমর ও ধরলার বেশ কিছু পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, আগামী দুই দিন নদনদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
ভিওডি বাংলা-মো. মশিউর রহমান বিপুল/জা