রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী


রসায়নবিজ্ঞানে অসাধারণ অবদানের জন্য এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী-জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, অস্ট্রেলিয়ার রিচার্ড রবসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওমার এম ইয়াগি। বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (MOFs)’ উন্নয়নে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শক্তি সংরক্ষণ, কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ ও ওষুধ সরবরাহে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হচ্ছে। বিজ্ঞান জগতে এই আবিষ্কারকে ভবিষ্যতের টেকসই প্রযুক্তির ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রসায়নে এ পর্যন্ত ১১৬ বার নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বয়স্ক নোবেলজয়ী হলেন জন বি. গুডএনাফ, যিনি ২০১৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে পুরস্কার পেয়েছিলেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম বয়সে রসায়নে নোবেল জয় করেন ফেদেরিক জোলিয়ট, ১৯৩৫ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে।
নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস শুরু ১৯০১ সালে। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল সম্পদের মালিক হন। মৃত্যুর আগে উইলে তিনি উল্লেখ করেন, তার সম্পদ থেকে প্রতিবছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পরে ১৯৬৯ সালে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি বিভাগ।
বিশ্বজুড়ে এই পুরস্কারকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে নোবেল কমিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে এবং ডিসেম্বর মাসে স্টকহোমে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ভিওডি বাংলা/জা