শহিদুল আলমদের কোথায় নেওয়া হচ্ছে, এরপর কী


গাজা উপকূল অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী জাহাজ কনশেন্স থেকে বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৯৩ জন অধিকারকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন; তাদের মধ্যে এক বাংলাদেশি- আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম ও আছেন।
দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ৯৩ অধিকারকর্মীদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক ও সাংবাদিক। বুধবার তাদের ইসরায়েলি বাহিনী আটক করে।
এক্সে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটকদের দেশটির বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। তারা নিরাপদে ও সুস্থ আছেন। শিগগিরই তাদের ইসরায়েল থেকে অন্য দেশে পাঠানো হবে।
ত্রাণবাহী জাহাজ কনশেন্সের আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৪৩টি নৌযানে বাধা ও কয়েক’শ অধিকারকর্মীকে আটক করে ইসরায়েল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সুইডেনের জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৭০ জনকে গ্রিসে পাঠানো হয়। পরে তাদের অনেকেই ইসরায়েলে আটক থাকা অবস্থায় নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
এদিকে অধিকারকর্মীদের আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। ফ্লোটিলা মিশনে অংশ নেওয়া মালয়েশিয়ার নাগরিকদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এফএফসি জানিয়েছে, কনশেন্স নামের জাহাজে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যের ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী ছিল। এটির ক্ষতিকর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর আটকেরও আইনি ক্ষমতা নেই।
জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশি অধিকারকর্মী শহিদুল আলম আজ সকালে আটকের আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আপনারা যদি এই ভিডিও দেখে থাকেন, তাহলে শুনুন, আমাদের সাগরে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। এরা সেই দেশের বাহিনী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা নিয়ে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভিওডি বাংলা/জা