অর্থনীতি:
চালের দাম কমেছে


বাজারে চালের দাম কমেছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি হওয়া চালের কারণে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
সদ্য চট্টগ্রামের চাক্তাই ও পাহাড়তলী বাজারে দেখা গেছে, মিনিকেট সিদ্ধ বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা (১০০ টাকা কম), পাইজাম সিদ্ধ ২ হাজার ৭০০ টাকা (২০০ টাকা কম), কাটারিভোগ সিদ্ধ ১ হাজার ৭০০ টাকা (২০০ টাকা কম) এবং কাটারিভোগ আতপ ৩ হাজার ৯০০ টাকা (১৫০ টাকা কম) বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য চালের দামও ১০০–৩০০ টাকা কমেছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক মাসে সরু চালের দাম ১.৮৪% এবং মাঝারি মানের চালের দাম ৩.৭% কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, যার প্রভাবে দাম কমেছে। তবে খুচরা বাজারে দাম কমার প্রভাব এখনও স্পষ্ট নয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ১৩ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টন এবং বেসরকারিভাবে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার টন। ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান থেকে চাল এসেছে।
সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখতে নতুন করে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম সরকার-টু-সরকার পদ্ধতিতে আমদানি করা হবে।
পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন বলেন, “ভারতীয় চালের প্রচুর আমদানি ও দেশীয় মজুদের কারণে দাম কমেছে। দুই মাস পর আমন ধান উঠলে সরবরাহ আরও বাড়বে।”
চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন যোগ করেন, “চাল আমদানির প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা আর সম্ভব হচ্ছে না, যার প্রভাব দামেও পড়ছে।”
ভিওডি বাংলা/জা