• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ঈশ্বরদীর সন্ত্রাসী ও ইউএনও'র অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

পাবনা প্রতিনিধি    ৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৩ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন সংলগ্ন কুষ্টিয়া ও লালপুর অংশের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের আস্তানা উচ্ছেদ, নদীপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়া ঘাট ক্যানেলপাড়া ৫ নাম্বার ঘাট এলাকায় ‘পদ্মা নদী পাড়ের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ’র ব্যানারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাঁড়া ৫ নং ঘাটের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রাজু, ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ মন্ডল, অপূর্ব কুমার, জামাল প্রমানিক, সুকুমার হালদার, আসলাম হোসেন, সাগর মোল্লা, গুলিবিদ্ধ যুবকের স্বজন রিজিয়া খাতুন, ফাহিমা খাতুন, রিনা বেগম, মুরসিদা বেগম প্রমুখ।

সমাবেশে ভুক্তভোগীরা বলেন, পদ্মা নদীতে বালু ও খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে নদীর চরে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই নৌকা ও স্পীডবোটে করে চর থেকে সন্ত্রাসীরা নদী পাড়ে এসে গোলাগুলি করে। এই গোলাগুলির মধ্যে স্থানীয় সাধারণ গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। গত সোমবারও (৬ অক্টোবর) একজন কৃষক ও একজন শিক্ষাথী গুলিবিদ্ধ হয়। পদ্মা পাড়ের বাড়ি ঘরে গুলি এসে ঘরের টিনের চালা ও বেড়া ফুটো হয়ে যায়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ও গুলিবিদ্ধ লোকজনের পরিবারের সদস্যরা এসব ঘটনার বর্ননা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ভুক্তভোগী বাসিন্দারা আরো বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নসহ লালপুর ও কুষ্টিয়া সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর চর অঞ্চল গুলোতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আ.লীগের সন্ত্রাসী ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন বাহিনী প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন। গুলিবর্ষণ করে পদ্মা নদীর পাড়ের সাধারণ মানুষদোর আতঙ্কিত করছেন। অথচ উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। তাদের অভিযোগ, ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এসব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাই  ইউএনও মোঃ মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবী করেন। একইসাথে সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করেন গ্রামবাসী। তাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ‘পদ্মাপাড়ে গোলাগুলিতে যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাদের বিষয়ে নৌ-পুলিশকে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছি এবং দ্রুততম সময়ে চরাঞ্চলে অভিযান চালানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে যেন এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।'

তিনি আরো বলেন, ‘তারা যেসব অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও টোল আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান করে তা বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য সেই আক্রোশের জেরে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে তারা।’

ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পদ্মা নদীতে টহল অভিযান অব্যাহত আছে।’

প্রসঙ্গত: সাঁড়া ঘাট এলাকায় গত ২৬ মে প্রথম দিনে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তারপর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ১০/১২ জন সাধারণ কৃষক ও গ্রামবাসী সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। গত ৬ অক্টোবর উপজেলার পদ্মা নদীর বালু মহালে টোল আদায় কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা আতর্কিত গুলি বর্ষণ করে,এতে স্থানীয় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নীলফামারীতে চাড়ালকাটা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নীলফামারীতে চাড়ালকাটা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোণায় সাংবাদিকদের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মতবিনিময়
নেত্রকোণায় সাংবাদিকদের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মতবিনিময়
রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস
রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস