গাজায় ৩ মাসের খাদ্য মজুত: ইউএনআরডব্লিউএ


ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার পর বুধবার (৯ অক্টোবর) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে উভয়পক্ষ। মিসরে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় গাজা উপত্যকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার ও হামাসের হাতে জিম্মিদের বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল।
লাজারিনি বলেছেন, দুই দীর্ঘ বছর ধরে ধ্বংসাত্মক বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি, ক্ষয়ক্ষতি ও শোকের মাঝে যারা বেঁচে আছেন, গাজার সেই বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। কঠিন এই সময়ের পর জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীরা অবশেষে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান বলেছেন, গাজায় পাঠানোর জন্য সংস্থাটির হাতে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে এমন পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে, যা দিয়ে পুরো গাজার জনগণকে আগামী তিন মাস পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করা সম্ভব।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউএনআরডব্লিউএর তীব্র সমালোচনা করে আসছে ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে এই সমালোচনা আরও তীব্র হয়।
ইসরায়েল সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বলেছে, জাতিসংঘের এই সংস্থাটি ‘হামাস সদস্যে পরিপূর্ণ।’ চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম নিজ ভূখণ্ডে নিষিদ্ধ করে ইসরায়েল।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, তাদের প্রায় ১২ হাজার কর্মী এখনও গাজায় কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) লাজারিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে এই কর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তারা গাজার বাসিন্দাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ মৌলিক বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করবেন।
সূত্র: এএফপি
ভিওডি বাংলা/জা