• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাজেট ঘাটতিতে জাতিসংঘ, কমছে শান্তিরক্ষী বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    ৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৭ পি.এম.
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন। সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘ বিশ্বের নয়টি অঞ্চলের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে এক-চতুর্থাংশ সেনা ও পুলিশ সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় তহবিল ঘাটতির কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, বাজেট সংকটের কারণে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার সামরিক ও পুলিশ সদস্যকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। একই সঙ্গে মিশনে কর্মরত বিপুলসংখ্যক বেসামরিক কর্মীর ওপরও প্রভাব পড়বে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ অবদানকারী দেশ। সর্বশেষ ৩১ আগস্টের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১০টি দেশে ৪৪৪ নারীসহ মোট ৫ হাজার ৬৯৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। শান্তিরক্ষী পাঠানোর দিক থেকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

২০২৫–২৬ অর্থবছরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মোট বাজেট ৫৪০ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান ছিল ১৩০ কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা এর অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রদান করবে। এর মধ্যে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ থাকবে হাইতির অ্যান্টি-গ্যাং মিশনের জন্য, যা জাতিসংঘের মূল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

চীন শান্তিরক্ষা মিশনের দ্বিতীয় বৃহৎ দাতা দেশ হলেও তাদের প্রায় ২০০ কোটি ডলার বকেয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বাজেটে ১৬–১৭ শতাংশ ঘাটতির আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের বাজেট দপ্তর ২০২৬ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অর্থায়ন সম্পূর্ণ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের দাবি, মালি, লেবানন ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মিশনগুলো ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়মূলক কার্যক্রমে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে। ১১টি মিশনের মধ্যে ৯টিতেই এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

বর্তমানে কঙ্গো, লেবানন, দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা ও আরও কয়েকটি দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধি লুই চারবোনি সতর্ক করেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে মানবিক সহায়তা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সংস্থাটির কার্যকারিতা বাড়াতে ও খরচ কমানোর জন্য সংস্কারমূলক পদক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ বছর জাতিসংঘ তার ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে— এমন এক সময়ে যখন সংস্থাটি কঠিন আর্থিক সংকটের মুখোমুখি।

ভিওডি বাংলা/ আরিফ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারত নিয়ে তারেকের মন্তব্যে বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া
ভারত নিয়ে তারেকের মন্তব্যে বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান
এআইয়ে সহপাঠিনীর অশ্লীল ছবি, ছাত্র বহিষ্কার
এআইয়ে সহপাঠিনীর অশ্লীল ছবি, ছাত্র বহিষ্কার