মালদ্বীপে হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ডে ১২ বাংলাদেশির সাফল্য


মানবসম্প্রীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১২ বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের ৪০ জনকে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এ ভূষিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের মৎস্য ও মহাসাগর সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুথালিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন নেপালের সাবেক পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখারেল, মালদ্বীপের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল জালিল ইসমাইল, নামকো গ্রুপের চেয়ারম্যান মহাম্মদ সোহেল রানা এবং মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু।
পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা হলেন-
বীমা খাতে অবদান: সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিইও মুহাম্মদ নূরুল আলম চৌধুরী, ইসলামী বাণিজ্যিক বীমা পিএলসির সিইও কাজী মোকাররম দস্তগীর, আমির গ্রুপের চেয়ারম্যান সিআপি এ. এম. জিয়াবুল, মা ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার আলতাফ হোসাইন।
বাণিজ্য ও প্রবাসী অবদান: মালেশিয়ার প্রবাসী ব্যবসায়ী সিআইপি সাহাবুদ্দিন, এমডি গ্লোবাল রিসোর্স এসডিএন বিএইচডির পরিচালক মো. মোশাররাফ হোসাইন।
মডেল ও সাংস্কৃতিক অবদান: মালয়েশিয়া মিস স্টার্স ইউনিভার্সের বিজয়ী ও বাংলাদেশের মডেল অনন্যা আফরিন।
অন্যান্য ব্যবসায়িক ও সাংবাদিক অবদান: রিম গ্রুপের ডিএমডি মো. ওবায়দুল হক সরকার, আমির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিআইপি এ. এম. জিয়াবুল, নওসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফজলে নওয়াজ, মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কায়সার হামিদ হান্নান, বাংলা প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মানবসম্প্রীতি দৃঢ়করণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং আন্তর্জাতিক পর্যটন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি গোলাম ফারুক মজনু বলেন, বিশ্বশান্তি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য মানবসম্প্রীতি অপরিহার্য। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহজ ও কার্যকর ভিসা নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা জানান, “এশিয়ার এই সম্মানজনক স্বীকৃতি আমাদের ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের গৌরব। বিদেশের মাটিতে লাল-সবুজের পতাকা উঁচু করা আমাদের জন্য পরম সম্মানের। এটি আমাদের দায়িত্ববোধকে আরও গভীর করবে এবং ভবিষ্যতে মানবসম্প্রীতি, উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
ভিওডি বাংলা/জা