খাদ্যাভ্যাস কি সন্তান ধারণে প্রভাব ফেলে


শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণ বা শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়-খাদ্যাভ্যাস সন্তান ধারণের সক্ষমতার ওপরও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফলিক অ্যাসিডের গুরুত্ব
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে ফলিক অ্যাসিড অত্যন্ত জরুরি। এই পুষ্টি গর্ভে শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের সঠিক গঠনে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণের পরামর্শ দেন। অনেক দেশে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রে, বিভিন্ন খাবারে অতিরিক্ত ফলিক অ্যাসিড যোগ করা হয় গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে।
পুরুষের খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ
শুধু নারীর নয়, পুরুষের খাদ্যাভ্যাসও সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রাণুর মান, গতি ও আকার অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর। বিশেষজ্ঞরা জানান, অপুষ্টি, মানসিক চাপ ও দূষণের কারণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতায় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইতিহাসে প্রমাণ
খাদ্যের প্রভাব শুধু আজকের বিষয় নয়। ১৯৪৪ সালের ‘ডাচ হাঙ্গার উইন্টার’-এ খাদ্য সংকটের সময় গর্ভে থাকা অনেক শিশুই পরবর্তীতে শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগেছিল-যা খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্বের ঐতিহাসিক প্রমাণ।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
সন্তান ধারণে আগ্রহী নারী-পুরুষ উভয়েরই পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য প্রতিদিন শাকসবজি, ফল, লাল মাছ, ডিম, বাদাম ও দুধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সন্তান ধারণ সহজ না হলেও নিজের ও ভবিষ্যৎ সন্তানের সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে প্রথম ও সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।
ভিওডি বাংলা/জা