ফলের দাম কমেছে, তবে নাগালের বাইরে-ই রইল


ঢাকায় বিভিন্ন বাজারে বিদেশি আমদানি করা ফলের দাম কিছুটা কমলেও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি। মাসখানেক আগে এক কেজি মাল্টার দাম ৫৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন আপেল ও নাশপাতির দামও কেজিপ্রতি প্রায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। এখন দাম কিছুটা কমলেও স্বাভাবিক পর্যায়ে ফেরেনি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আপেলের দাম কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা এবং মাল্টা ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে আপেল ৩৫০–৪০০, নাশপাতি ৪০০–৪২০ এবং মাল্টা ৫৫০ টাকায় বিক্রি হত। কমলার দাম ৩০০–৩২০ টাকা এবং চড়া দামে সাদা আঙুর ৪৮০–৫০০, কালো আঙুর ৩৪০–৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনারও প্রতি কেজি ৫০০–৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকার বাদামতলী এলাকায় অন্যান্য বাজারের তুলনায় ২০–৫০ টাকা কম দামে ফল পাওয়া যাচ্ছে। শান্তিনগর বাজারের বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, “দাম স্বাভাবিক না হলেও গত মাসের তুলনায় অনেকটা কমেছে। আশা করছি আরও কমে যাবে, কারণ দেশি ফলের সরবরাহ ভালো।”
বাড্ডার বিক্রেতা মাসুদ মিয়া বলেন, “৫০০ টাকায় মাল্টা বিক্রি করা কখনো হয়নি। গত মাসে বিক্রি করতে হয়েছে। এখন ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরে ২০০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হত।”
ঢাকার ভ্রাম্যমাণ ও পাড়া-মহল্লার ভ্যানে আরও কম দামে ফল পাওয়া যাচ্ছে। রামপুরার ভ্যান বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, “আমাদের খরচ কম, বিক্রি বেশি, তাই কম দামে বিক্রি করতে পারি।”
ক্রেতারা এখনও সন্তুষ্ট নন। সুমি নামের একজন ক্রেতা বলেন, “আগে বাচ্চাদের যতটা ফল খাওয়াতাম, এখন তার অর্ধেকও দিতে পারছি না। বিদেশি ফল এখনো আমাদের নাগালের মধ্যে আসেনি। দেশি পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে ও আমড়া খাচ্ছি।”
ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আমদানি প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। জানুয়ারিতে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পাইকারি বিক্রিও ২০–৩০ শতাংশ কমেছে।
ভিওডি বাংলা/জা