৭ দিনের অভিযানে ফেনীর অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত


ফেনী শহরে টানা সাত দিনের অভিযানে ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে শহরের ট্রাংক রোড, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, মহিপাল, কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড, কলেজ রোড, মিজান রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত ও সড়কের ওপর গড়ে তোলা অস্থায়ী দোকানপাট ও ভাসমান হকারদের উচ্ছেদ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোয় পথচারীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছিল। এ পরিস্থিতি নিরসনে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। প্রথমে ফুটপাত ও সড়কের পাশের অস্থায়ী দোকান, সাইনবোর্ড ও অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হয়। পরদিন থেকে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা অভিযানে যুক্ত হয়। পুনরায় দখল রোধে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। বহুদিন ধরে এই সমস্যায় নাকাল মানুষ। পুলিশের অভিযানে কিছুটা স্বস্তি মিললেও তা স্থায়ী হয় না, কারণ অনেক দোকানদার ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে ভাড়া নেন-প্রশাসন চলে গেলে তারা আবার বসে পড়ে। তাদের মতে, দোকানদারদের জরিমানা ও নিয়মিত নজরদারিই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখলে শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। এখন অভিযানের ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। তারা পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে অনেকেই মনে করেন, যেসব হকার উচ্ছেদ হয়েছেন-তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তারা জানান, জীবিকার তাগিদে এসব মানুষ ফুটপাতে দোকান বসিয়েছিলেন; তাই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না নিলে তারা আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযান অব্যাহত রাখব এবং টহলের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
ভিওডি বাংলা/জা