পলাতক ৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা, ইন্টারপোলের রেড নোটিশে সাড়া নেই


জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ডিআইজি, এসপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা। তারা সবাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে রেড নোটিশের আবেদন করা হলেও ইন্টারপোল এখনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গুলি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যদিও রেড নোটিশের জন্য আবেদন করা হয়েছে, ইন্টারপোল এখনও সাড়া দেয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে সাবেক ডিআইজি হারুন অর রশিদের অবস্থানের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে, ডিএমপি’র সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান যুক্তরাজ্যে এবং প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম ভারতে অবস্থান করছেন। দেশে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশের এআইজি শাহাদাত হোসাইন জানান, “কিছু দেশে তাদের অপরাধ হিসেবে গণ্য না হতে পারে। কেউ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় (Political Asylum) পেয়ে থাকতে পারে। মানবাধিকার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ইন্টারপোল অনেক সময় রেড নোটিশ দেয় না।”
সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, কর্মস্থল ত্যাগ বা আত্মগোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সোহেল রানা বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তারা অপরাধে জড়িত থাকলে অনুপস্থিতির সুযোগে পালিয়ে থাকতে পারে না। তবে দেশে ফেরাতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কূটনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন। এ ছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১-এর ২৯ ধারায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিআইজি থেকে পরিদর্শক পর্যায়ের ৪০ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহারসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি বিতর্কিত ভূমিকার কারণে আরও ৫৫ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা