• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মাদারীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে ভাগ্নিকে নিয়ে উধাও খালু

মাদারীপুর প্রতিনিধি    ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৬ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

স্ত্রীর আপন বড় বোনের মেয়ে সম্পর্কে হয় ভাগ্নি। তারই প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বার বার সংসার ছেড়ে নিরুদ্দেশ হচ্ছেন স্বামী জাহিদ খাঁ (২৬)। এক নয় দুইবার নয় এ নিয়ে ৩-৪ বার। শেষবার 

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ফের পালিয়ে গেলে পরে বিষয়টি টের পান স্ত্রী পলিনা আক্তার। নিরুপায় হয়ে পলিনা সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার ইটেরপুল এলাকায়।

পলিনা আক্তারের ভাগ্নি সাথি আক্তার (১৮) শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন বিনোদপুর চরের কান্দী এলাকার নাসিরুদ্দিন খানের মেয়ে।

এ সময় সাংবাদিকদের পলিনা আক্তার বলেন, গত এক বছর আগে ভাগ্নিকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যান স্বামী জাহিদ খাঁ। স্বামীকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই ঘটনাটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আমার স্বামী জাহিদ খাঁ আমার কাছে ছুটে আসেন। বলেন এই কাজ আর করবেনা। পরে অনেক কৌশলে আমাকে দিয়ে সেই অভিযোগ তুলে নেয়। ঘটনার প্রায় ৭ মাস পর ফের গতকাল রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায় জাহিদ খাঁ। স্ত্রী পলিনা তাঁকে খুঁজে না পেয়ে পরে জানতে পারি আমার ওই ভাগ্নিকে নিয়েই পালিয়েছে।

চোখে মুখে বিষণ্ণতার ছোঁয়া স্ত্রী পলিনা আক্তারের। কোন কুল কিনারা না পেয়ে সাংবাদিকের শরণাপন্ন হন তিনি।

পলিনা আক্তার জানায়, ২০১৯ সালে জাহিদ খাঁর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সংসার ভালই চলছিল। বিয়ের দুই-তিন বছর পরে জানতে পারে তারই বড় বোনের মেয়ে ভাগ্নি সেলিনা আক্তার ও তাঁর স্বামী জাহিদ খাঁর মন দেওয়া নেয়ার সম্পর্কের কথা। পরে সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে তাঁরা পালিয়ে যায়। করেন বিয়েও। বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের একাধীকবার ধরে আনলেও আবার তাঁরা পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ বছরের প্রথমে শেষবার পালানোর পূর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যদের নিয়ে শালিস হয়। সেখানে তাঁরা দুইজনেই লিখিত দেন যে তাঁরা এই কাজ আর করবেনা। এবং তাদের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তালাকও হয়। পরে আবারো পালিয়ে যায় তাঁরা। পালানোর ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে কোন উপায় না পেয়ে স্বামী জাহিদ খাঁ তাঁর কাছে ছুটে আসেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ধরে রাখা যাচ্ছেনা। গতকাল তাঁরা আবারো পালিয়েছে। আমি আমার সাড়ে ৩ বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে এখন কি করবো।

কান্নাজরিত কন্ঠে পলিনা বলেন, আমি শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আয়া হিসেবে কাজ করতাম। ডেংগু জ্বর হওয়ায় সেই চাকরিও ছেড়ে দিয়েছি অনেকদিন। এখন আমি আমার সন্তান নিয়ে কি করে বাঁচবো।

এ সময় সাংবাদিকের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন, যেভাবেই হোক তাঁর স্বামীকে যেন তিনি ফেরত পান তাঁর একটা ব্যবস্থা করে দিতে। আর যদি সে ফিরে না আসে তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে এনসিপি : সারজিস
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে এনসিপি : সারজিস
রাজারহাটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
রাজারহাটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
বাঁশখালী‌তে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
বাঁশখালী‌তে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত