২-০ তে পিছিয়ে পড়েও ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস জাপানের


১৩বারের দেখায় কখনো ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি জাপান। অবশেষে ১৪তম চেষ্টায় সেই অজেয় দেয়াল ভেঙে ইতিহাস গড়ল সামুরাই ব্লুদের দেশ। টোকিওতে মঙ্গলবার রাতে এক প্রীতি ম্যাচে কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিলকে ৩–২ গোলে হারিয়েছে জাপান। এটিই সেলেসাওদের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়।
ম্যাচের শুরুটা ছিল সম্পূর্ণ ব্রাজিলের দখলে। লুইজ হেনরিক ও গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলির গোলের সুবাদে প্রথমার্ধেই ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চার দিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫–০ গোলে হারানো দলটি। তবে বিরতির পর চিত্রটাই পাল্টে যায়। তাকুমি মিনামিনো, কেইতো নাকামুরা ও আয়াসে উয়েদা পরপর তিন গোল করে জাপানকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়।
মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিলের দ্বিতীয় পরাজয়। এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার কাছে ১–০ গোলে হেরেছিল দলটি।
দক্ষিণ কোরিয়াকে হারানো ম্যাচ থেকে একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি। বেঞ্চে বসানো হয় আগের ম্যাচের গোলদাতা এস্তেভাও, রদ্রিগো ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড মাতেউস কুনহাকে। সম্মুখভাগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গী হন মার্টিনেলি ও হেনরিক।
অন্যদিকে, জাপানের দলে চোটের কারণে ছিলেন না ব্রাইটনের কাওরু মিতোমা ও লিভারপুলের মিডফিল্ডার ওয়াতারু এন্ডোসহ কয়েকজন নিয়মিত তারকা।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পায় জাপানই, কিন্তু আয়াসে উয়েদা বলে স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন। এরপরই গোল হজম করে স্বাগতিকরা—হেনরিকের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কয়েক মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ান মার্টিনেলি, লুকাস পাকেতার দারুণ চিপ পাস ধরে গোলরক্ষক জিওন সুজুকিকে পরাস্ত করে।
৫২ মিনিটে ফাব্রিসিও ব্রুনোর ভুলে সুযোগ পান মিনামিনো, জোরালো শটে গোলরক্ষক হুগো সুজাকে পরাস্ত করেন। ৬৫ মিনিটে নাকামুরার শটে সমতায় ফেরে জাপান, বল ব্রুনোর গায়ে লেগে দিক বদলে জালে ঢোকে। কয়েক মিনিট পর উয়েদার হেড ক্রসবারে লাগে, কিন্তু পরের আক্রমণেই তিনি হেডে বল পাঠান জালে—৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জাপান।
শেষ দিকে সমতায় ফেরার চেষ্টা করলেও ব্রাজিলকে থামিয়ে দেয় জাপানের দৃঢ় রক্ষণভাগ।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ