• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

কারা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি    ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৩ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে। রাস্তাঘাটে এবং চায়ের দোকানে সব জায়গায় একই আলোচনা কে পাচ্ছেন বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন।

ইতোমধ্যে ৬টি আসনে জামায়াত ইসলামসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল তাদের দলীয় একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। ওই সব প্রার্থীও সভা সমাবেশের মাধ্যমে মাঠে প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে।

তার বিপরীতে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির অবস্থা ‘লেজেগোবরে’। দলটি এখনো কোনো আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি আসনে প্রতিটি থেকে ৬ থেকে ৭ জন করে প্রায় অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। এদের মধ্যে অনেকেই আছেন গত ১৬ বছর মাঠে ছিলেন না- এমন অনেক নেতা এখন সরব। তবে প্রায় সবাই সপ্তাহের শুক্র-শনিবার এ দুই দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভা, আলোচনা সভাসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এতে দলের অভ্যন্তরে নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোট ব্যাংকে হানা দিতে সদ্য বিদায়ী দুর্গাপূজায় জামায়াত মনোনীত ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন। তবে আগে ভাগে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে জামায়াত অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অপরদিকে গ্রুপিং আর দলীয় কোন্দলে জর্জরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি উপজেলা বিএনপিতে। এসব কারণে দেখা দিয়েছে সংগঠনের মধ্যে বিভক্তি। জেলার ৯টি উপজেলাতেই ২-৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে বিএনপি।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর এ অবস্থার অবসান হওয়ার দরকার বলে মনে করছেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকরা। অন্যথায় বিএনপিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে কঠিন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন রাজনৈতিক মহল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ যুগান্তরকে বলেন,  প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে প্রতি আসনে বিএনপি সবুজ সংকেত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, জামায়াত আগেভাগে একক প্রার্থী দিয়ে প্রচারণা শুরু করলেও এতে বিএনপির ভোটে প্রভাব পড়বে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর): এ আসনটি মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে বিবেচিত হতো। যেহেতু নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকছে না; সেক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা এ আসনের হিন্দু ভোটারদের প্রতি নজর রাখছেন একটু আলাদা।

বিএনপি থেকে দলের মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান মামুন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান, জেলা বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন, জেলা বিএনপির পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক ড. শামসুল হক কিবরিয়া ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আযম চৌধুরী ও প্রিন্সিপাল এমএ মোনায়েম। আর জাতীয় পার্টি থেকে মাঠে রয়েছেন শাহানুল করমি গরীবুল্লাহ।

এদিকে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে এ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ একে একরামুজ্জামান সুখন। দুটো নির্বাচনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদে থেকে স্বতন্ত্র মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নানামুখী চাপে পড়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে তিনি আবার বিএনপিতে ফিরতে পারেন এমন কানাঘুষাও দলে এবং এলাকার মানুষের মুখে চাউর রয়েছে। স্বতন্ত্র কিংবা এনসিপি থেকেও তিনি প্রার্থী হতে পারেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে জেলা জামায়াতের মজলিশে শূরা সদস্য ও নাসিরনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক (অব.) একেএম আমিনুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে প্রার্থী হয়েছেন মাওলানা সাইফুল্লাহ বিন আনসারী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ): আগামী এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হতে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এসএন তরুণ দে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ শামীম, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, জেলা বিএনপির সদস্য আহসান উদ্দিন খান শিপন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, ডাক্তার নাজমুল হুদা বিপ্লব।

এদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা মো. মোবারক হোসাইন। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন চাইবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ উদ্দিন মাহদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী নেছার আহমেদ নাছেরী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে প্রার্থী হয়েছেন মাওলানা মাইনুল ইসলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (জেলা সদর-বিজয়নগর): এ আসনে পাঁচবার এমপি ছিলেন বিএনপির প্রবীণ নেতা, সাবেক নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হারুন আল রশিদ। তবে ২০০৮ সালের পর আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের হাতে। বর্তমানে মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। ২০১১ সালের উপনির্বাচনে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন শ্যামল। এদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল।

এছাড়া এ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. জোনায়েদ হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন চাইবেন যুগ্ম সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে প্রার্থী হয়েছেন মাওলানা মুহসিনুল হাসান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া): ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ আসনে জয়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানও এবার নির্বাচন করবেন। তিনি নিয়মিত নির্বাচনি এলাকার দুই উপজেলায় গণসংযোগ করছেন। বিএনপি থেকে আসনটিতে প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাছির উদ্দীন হাজারী, সাবেক আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুসলেম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহাম্মেদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ।

এ আসন থেকে ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুফতি জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মাওলানা জয়নাল আবেদীনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে তাদের দল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর): জেলার সবচেয়ে বড় আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫। আসনটিতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের প্রার্থী বিভিন্ন সময়ে জয়ী হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়নের আশায় মাঠে কাজ করছেন জেলা বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সায়েদুল হক সাঈদ, কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতা তকদীর হোসেন মো. জসিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাসাস এর সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুন অর রশিদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, বিএনপি নেতা উচ্চ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল বাকি। 

এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল বাতেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন মাওলানা আবদুল কাইয়ূম ফারুকী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর): এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এমএ খালেক মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের তালিকায় অন্যতম। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি।

এমএ খালেক ছাড়াও বিএনপির প্রার্থী হতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতা ও বাঞ্ছারামপুর বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক দেওয়ান মো. নকিবুল হুদা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মাওলানা আবদুল মজিদ।

তবে এ আসনটি জোটগত কারণে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকির জন্য বিএনপিকে ছেড়ে দিতে হতে পারে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নাগরপুর সরকারি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান
নাগরপুর সরকারি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান
ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
বাউল ও গীতিকার আব্দুস সালামের পাশে জেলা প্রশাসন
বাউল ও গীতিকার আব্দুস সালামের পাশে জেলা প্রশাসন