কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ


কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ৩ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে।এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়কের বড় অংশ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। এর আগে কয়েক দফায় আমরা মিটিং মিটিং খেলা খেলেছি। এবার মাঠে সমাধান হবে।
ইবি শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘রাস্তা সংস্কারের জন্য রাস্তায় নেমেছি, সমাধান হবে রাস্তায়। আমরা যখন কর্মসূচি দিয়েছি, তখন এ মাসে বা অমুক মাসে সংস্কার হবে বলে কথা আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে— আপনারা এত মাস কোথায় ছিলেন? রাজনৈতিক সিন্ডিকেটে পা না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাতারে আসুন।’
আরেক শিক্ষার্থী বাঁধন বলেন, ‘গতকাল দেখেছি, একমাসের মধ্যে সংস্কার শুরু হবে কিন্তু এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করবে না। আপনারা রাস্তায় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।’
সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট জানান, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক আসবে না ততক্ষণ কর্মসূচি চলবে বলে অনঢ় ছিলাম। এ বিষয়ে রাজনীতি না খেলার অনুরোধ করছি। পরে জেলা প্রশাসক এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু করবে বলে আশ্বস্ত করায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী ২২ তারিখ আবারও কর্মসূচি থাকবে।’
অবরোধ চলাকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আমি রুটিন দায়িত্বে আছি। অবরোধের বিষয়ে আমি উপাচার্যকে অবগত করেছি। ফোনের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে সমাধান করবে কিনা ওনি দেখবেন৷’
পরে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত হন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের উপস্থিতিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইটের সঙ্গে ফোনকলে যোগাযোগ করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
ফোনকলে জেলা প্রশাসক জানান, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করে দিব এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো।’
ভিওডি বাংলা/ মো. সামিউল ইসলাম/ আরিফ