কারও কথায় কান না দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন: ফারুক

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, “আমরা সংঘর্ষ চাই না, কিন্তু কেউ যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সহজে মেনে নেওয়া হবে না। বিএনপি সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সমাবেশে মূল দাবি ছিল-গুমের ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ফারুক বলেন, “আপনারা আশ্বস্ত করেছেন যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বাস্তবায়নের পথে কেউ যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনারা ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে আছেন, কারও কথায় কান না দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।”

বিএনপির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরে ফারুক বলেন, “বিএনপি ছোট দল নয়। শহীদ জিয়ার আদর্শের এই দল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ১৬ বছর হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছে। নেতাকর্মীরা পুলিশের ভয়ে কবরস্থানে রাত কাটিয়েছে, রিকশা চালিয়ে জীবন চালিয়েছে। বিএনপিকে অবহেলা করে নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করলে তা প্রতিহত করার মতো সাহস আমাদের আছে।”

গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশ যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এমন কোনও সংশয় সৃষ্টি করা যাবে না, যাতে নির্বাচন বানচালের দায় আপনাদের ওপর পড়ে।”

বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ফারুক বলেন, “আমরা এমন কিছু করতে চাই না যাতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের রক্ত বৃথা যায় বা প্রতিবেশী দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হয়।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যারা ১৬ বছর গুম-খুনের রাজনীতি চালিয়েছে-চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীদের গুম করেছে-তাদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। গত এক বছর চার মাসে সরকার কয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে?”

সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, “আর দেরি নয়, দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে নতুন সরকার গঠন করে আমরা গুম-খুন ও বিচার বিভাগের ধ্বংসকারীদের বিচারের মুখোমুখি করব।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’-এর সহ-সভাপতি বাদল সরকার। বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, দলটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী।

ভিওডি বাংলা/জা