• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
রাজবাড়ীর ৪ কলেজে শতভাগ ফেল: হতাশ শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ইরানীদের হাতে নির্মিত ভাগনা মসজিদ ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে : মির্জা ফখরুল কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশের তরুণ গবেষকদের জন্য গর্বের মুহূর্ত সৃষ্টি করেছেন মাহমুদ রাহাত ও তানহা হাসান রাজউকে পাসের হার ৯৯.৯৪ শতাংশ, কমেছে জিপিএ-৫ এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতিক্ষিত রাকসু নির্বাচন রাজশাহী কষ্ট করলেও ‘কেষ্ট’ মিলছেনা বাগমারার মৃৎশিল্পীদের ভাগ্যে

প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া জামায়াত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক    ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৩ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শুরু থেকেই ‘বিএনপি মাইনাস’ ইস্যুতে আনঅফিসিয়ালি ক্ষমতাবান ছিল জামায়াতে ইসলামী। সেই সুযোগে প্রশাসনসহ সরকারি দপ্তরগুলো পুরোই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। কিন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর তাদের মূল খুঁটিগুলোর একটি- জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান ঝরে পড়ায় দলটি অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়ে। প্রশাসন দখলে রাখার জন্য এ পদটি নিঃসন্দেহেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পদটি পুনর্দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে জামায়াত। নিজেদের পছন্দের লোকদের বসানোর চেষ্টা করে। রেজাউল মাকসুদ জাহেদীসহ বেশ কয়েকজন কট্টর জামায়াত চিহ্নিত কর্মকর্তার নাম প্রস্তাব করা হয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু কোনোটিই সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় জনপ্রশাসন সচিব পদে পদায়নের জন্য নরম স্বভাবের মধ্যপন্থার এক কর্মকর্তার সার-সংক্ষেপ যায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ জামায়াতের একটি টিম ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে সার-সংক্ষেপটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঠেকিয়ে দেন। গত ৫ অক্টোবরের ঘটনা এটি। তারপর থেকে জনপ্রশাসন সচিব পদ দখলের জন্য আরও জোরেশোরে তদবির চলে জামায়াতের পক্ষ থেকে। কৌশল হিসেবে মাঝে একজন নারী কর্মকর্তারও নাম উপস্থাপন করা হয় জামায়াত সমর্থিত গ্রুপটির পক্ষ থেকে, যিনি কট্টর জামায়াত সমর্থক হিসেবে বিবেচিত।

অবশেষে জনপ্রশাসন সচিব পদে নিয়োগ পেলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত মো. এহসানুল হক। তিনিও ঠান্ডা মেজাজের এবং দলনিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত। তিনি ৮২ সালের ব্যাচের কর্মকর্তা। ইতিপূর্বে যার বিষয়ে সার-সংক্ষেপ গিয়েছিল তিনি ছিলেন ৮৫ সালের ব্যাচের।

জনপ্রশাসন সচিব পদ পূরণ নিয়ে যখন লবিং-পাল্টা লবিং চলছিলো তার মধ্যেই ঘটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) এরফানুল হকের বদলির ঘটনা। প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য জনপ্রশাসন সচিব পদের পাশাপাশি অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) পদটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা বা নির্বাচনী ফলাফলকে নিজেদের অনুকূলে আনার বিষয়ে অনেক সময় প্রশাসন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অতীতে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে তাই দেখা গেছে। সামনের নির্বাচনেও কমবেশি কিছুটা হলেও এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন বানচালেও প্রশাসন ইচ্ছে করলে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। মূলতঃ এসব কারণেই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে জামায়াত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে জামায়াত ইতিমধ্যেই ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ভালো ফল আদায় করতে পেরেছে। আর তাই জাতীয় নির্বাচনেও প্রশাসনকে এ মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে বিবেচনা করছে দলটি।

ভিওডি বাংলা/ এমপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ প্রশাসনে অস্থিরতা ও মবভীতি
সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ প্রশাসনে অস্থিরতা ও মবভীতি
নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন !
নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন !
ডাকসু নির্বাচনের ইতিহাস
ডাকসু নির্বাচনের ইতিহাস