সবাই দোয়া কইরো, শরীরটা ভালো যাচ্ছে না: সাবেক আইজিপি

কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) হাজতখানা থেকে কারাগারে নেয়ার পথে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হওয়ার পর থেকেই অনেকটা আলাদা রাখা হচ্ছে সাবেক এই আইজিপিকে। মিশতে দেয়া হয় না কারও সঙ্গে। এমনকি ট্রাইব্যুনালে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। যেখানে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাইলেও রাজসাক্ষী মামুনের ভার ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেন। তাই এদিন অনেকটাই নির্ভার দেখা যায় সাবেক আইজিপি মামুনকে।
এদিন হাজতখানা থেকে কারাগারে নেয়ার পথে সাবেক এই আইজিপি নিজের অধীনস্থ অনেক পুলিশ অফিসারকে হাজতখানায় বসে থাকতে দেখেন। তারা সবাই আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলার আসামি। এ সময় তাদের উদ্দেশ্য করে সাবেক আইজিপি মামুন বলেন, ‘কেমন আছো তোমরা?’। পরে সবাই এক সুরে সাবেক এ আইজিপিকে বলেন, ‘ভালো আছি স্যার।’
ওই সময় চৌধুরী মামুন তাদের আরও জিজ্ঞেস করেন, ‘কে কোন কারাগারে আছো?’। আবারও সবাই হাসিমুখেই উত্তর দিলে সাবেক আইজিপি বলেন, ‘সবাই দোয়া কইরো। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না’। একই সময় উপস্থিত সকলেও সাবেক এই আইজিপির কাছে দোয়া চান।
জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের আইজিপি ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। শেখ হাসিনার মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে আসতেন তিনি। তবে রাজসাক্ষী হওয়ার পর আলাদা করে রাখা হচ্ছে তাকে। এমনকি বুধবার (১৫ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের শীর্ষ সব নেতাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সাবধানে অন্য স্থানে রাখা হয় তাকে। পরে মুখে মাস্ক পরে সাবেক এই আইজিপিকে এজলাসে তোলা হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমপি