রাকসু নির্বাচনে কালিতে মুছে যাচ্ছে আঙুলের ছাপ


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের একটি কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে আঙুলে অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে।
শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে একটি অসঙ্গতি আমাদের চোখে পড়েছে। আঙুলে অমোচনীয় কালির যে কথা বলা হয়েছিল, তা এখনই প্রায় উঠে গিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তবে আমরা যদি কোনো কারচুপির সন্ধান পাই বা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আভাস পাই অবশ্যই সেটি আপনাদের মাধ্যমে সারা দেশের সামনে তুলে ধরব।’
ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর ভোটের প্রভাব এখানে পড়বে না উল্লেখ করে শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ‘জাকসু, ডাকসু, চাকসুর যারা প্রার্থী, ভোটার ও ফলাফল, রাকসুর সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। রাকসুর ভোট কেউ চাকসুতে গিয়ে দিবে না আবার চাকসুর ভোট কেউ এখানে এসে দিবে না। এখানে আমাদের প্রতিনিধি শিক্ষার্থীরাই নির্বাচিত করবে। সুতরাং ঢাকা বা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেই ফলাফল হয়েছে সেটির প্রভাব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়বে না।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফলাফল যাই আসুক সেটি মেনে নেওয়ার কথাও জানালেন ছাত্রদল সমর্থিত এই ভিপি প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আসলে কারও ক্যান্টনমেন্ট হতে পারে না। এখানকার শিক্ষার্থীরা ভোটের ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণ দিয়ে দিবে এটি আসলে শিক্ষার্থীদের ক্যান্টনমেন্ট। এটি কোন দলীয় দলের ক্যান্টনমেন্ট না।
নির্বাচন ভোট গণনা প্রক্রিয়া পর্যন্ত যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠ নির্বাচন হয়, ফলাফল যায়-আসুক আমরা মেনে নিব। তবে আমরা জয়ী হবো, সেটা আশাবাদী। আমাদের পর্যালোচনা করলেই জানতে পারবেন যে আসলে আমাদের প্যানেলটা কতটা যোগ্য।’
ভিওডি বাংলা/মো: রমজান আলী/এম