দুই বছরে ১১ শতাংশ কমেছে আইপিএলের মূল্য


বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ হিসেবে পরিচিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর বাজারমূল্য গত দুই বছরে প্রায় ১১ শতাংশ কমে গেছে।
ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইসরির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ‘বিয়ন্ড ২২ ইয়ার্ডস: দ্য পাওয়ার অব প্ল্যাটফর্মস, দ্য প্রাইস অব রেগুলেশন’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর আইপিএলের বর্তমান মূল্য ৭৬,১০০ কোটি রুপি, যেখানে ২০২৪ সালে তা ছিল ৮২,৭০০ কোটি রুপি এবং ২০২৩ সালে ৯২,৫০০ কোটি রুপি। অর্থাৎ দুই বছরে একধাক্কায় কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ।
এছাড়া নারী ক্রিকেটের উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লিউপিএল) মূল্যও ৫.৬ শতাংশ কমে ১,২৭৫ কোটিতে নেমে এসেছে।
কেন কমছে আইপিএলের মূল্য?
রিপোর্টে দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে—
অনলাইন গেমিংয়ে সরকারি বিধিনিষেধ:
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’ পাস করেছে। এই আইনের পর ড্রিম-১১, এমপিএলসহ অন্তত ১১টি বড় গেমিং প্ল্যাটফর্ম আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে খেলাধুলা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে প্রায় ২ লাখ কোটি রুপির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা সরাসরি আইপিএলের স্পনসরশিপ ও বিজ্ঞাপন আয়ে প্রভাব ফেলেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেবল এই কারণেই আইপিএল প্রায় ২ হাজার কোটি রুপির ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সম্প্রচার আয় স্থবিরতা:
আইপিএলের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস সম্প্রচার সত্ত্ব। যদিও টেলিভিশন ও অনলাইন দর্শক বেড়েছে, তবে সেই অনুপাতে আয় বাড়েনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ম্যাচ সম্প্রচার নয়, বরং নতুন কনটেন্ট, ফ্যান এঙ্গেজমেন্ট ও ব্র্যান্ড পার্টনারশিপে জোর দিতে হবে আইপিএলকে।
ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইসারি মনে করছে, চলতি নিম্নমুখী প্রবণতা সাময়িক হলেও আগামী বছরেও আইপিএলের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার সম্ভাবনা কম।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ