লাঠিচার্জের পর সংসদ ভবন এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

প্রায় তিন ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির পর লাঠিচার্জ করে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধাদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে শুরু হওয়া অভিযানের পর পুরো সংসদ ভবন এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধারা। তাদের অভিযোগ-জুলাই সনদে তাদের ভূমিকা ও ত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, বরং সনদটি আইনি ভিত্তিহীন ও অবমূল্যায়নমূলকভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। রাত থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান নেওয়া শত শত আন্দোলনকারী সকালে মূল ভবনের দিকে অগ্রসর হন। কেউ কেউ গ্রিল টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন। শেষ পর্যন্ত মূল ফটক খুলে দিলে পাঁচ শতাধিক বিক্ষুব্ধ যোদ্ধা অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চ ও অতিথিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে বসে পড়েন।
দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান, নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সনদের অঙ্গীকারনামায় সংশোধন আনা হবে।’ তবে তার আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলনকারীরা ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে মঞ্চে স্থান দেওয়ার দাবি জানান এবং সনদের আইনি স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নের রোডম্যাপ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মঞ্চের চারপাশে অবস্থান নেয়। দুপুর একটা নাগাদ পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ।
লাঠিচার্জের পর পুরো সংসদ ভবন এলাকা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্লাজার আশপাশের রাস্তা ও প্রবেশপথে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। দুপুর দেড়টার মধ্যে এলাকা সম্পূর্ণভাবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
উল্লেখ্য, জুলাই সনদকে ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। তাদের দাবি-সনদের আইনি স্বীকৃতি, তদন্ত কমিশন গঠন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এসব দাবি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত না হওয়ায় শুক্রবারের এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ভিওডি বাংলা/জা






