'ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না' স্লোগানে উত্তাল ইবি


গাজীপুরে হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে লাগাতার ৩ দিন ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয় এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই; ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো; আমার বোনের কান্না, আর না আর না; নারেয়া তাকবির আল্লাহু আকবর; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আমার বোন ধর্ষিতা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই। ধর্ষকদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় হতে পারে না। কিন্তু, তাদের মধ্যে বিজিবি, ‘র’ ও ইসকন কেন্দ্রিক একটি দালাল চক্র বাংলাদেশের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করার জন্য দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনারা সবাই সোচ্চার থাকবেন। কোনো ক্ষেত্রেই সামান্য ছাড় দেওয়া হবে না।’
তারা বলেন, ‘হিন্দুদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে যারা মুসলিম নারীদের টার্গেট করছে। কোনো নারী ধর্ষণ হলেই বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবীরা সোচ্চার হন। ধার্মিক পর্দাশীল কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে তারা চুপ করে থাকেন।’
তারা আরও বলেন, ‘একজন শিশুকে অপহরণ করে ৩দিন ধরে ধর্ষণ করে ধর্ষকরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। মিডিয়া জগৎ চুপ। কোনো আওয়াজ নাই। মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। ভাইরাল হওয়া শিশুটির ভিডিয়োটা দেখলে গা শিহরিত হয়। ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে। ফাঁসি কার্যকর করতে না পারলে ইন্টেরিম সরকার চেয়ারে বসার ন্যূনতম নৈতিকতা রাখে না।’
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর (১৩) কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে নেটিজেনরা। জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। দুই মাস আগে এই ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মণ ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় লোকনাথের ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক লাগাতার তিনদিন ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
ভিওডি বাংলা/ সামিউল ইসলাম/এম