• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বিএনপি–শিবির সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০ জন

নোয়াখালী প্রতিনিধি    ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পি.এম.
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
 
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
 
ঘটনার সূত্রপাত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ অক্টোবর) কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে একটি ‘কোরআন শিক্ষা ক্লাস’ চলাকালে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ছাত্রশিবির। পরে প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেলে একই মসজিদে ‘দারসুল কোরআন’ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
 
সংঘর্ষের সময় শিবিরের নেতাকর্মীদের মসজিদে অবস্থান।
 
সংঘর্ষের বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসরের নামাজের পর ‘দারসুল কোরআন’ শুরু হলে মসজিদের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিতে থাকেন।
 
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
মসজিদের ভেতরে ছাত্রশিবিরের সদস্যরা অবস্থান নেন, আর বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও স্লোগান দিতে থাকেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটকে পড়া জামায়াত–শিবিরের নেতাকর্মীদের মসজিদ থেকে উদ্ধার করা হয়।
 
উভয়পক্ষের অভিযোগ–প্রতিঅভিযোগ
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান অভিযোগ করেন, ‌‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে বিএনপি হামলা চালিয়েছে। অনেক ভাই মসজিদে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে।’
 
অন্যদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল দাবি করেন, ‘নামাজ শেষে মসজিদ থেকেই হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা চালানো হয়।’
 
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা আরও জানান, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদে দলীয় স্লোগান দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলে তারা বাধা দেন। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
 
এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের। এর মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক আক্তার, দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
 
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।’
 
ভিওডি বাংলা/ আরিফ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: ডা.জাহিদ হোসেন
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: ডা.জাহিদ হোসেন
সন্ত্রাস দিয়ে জনসমর্থন ও জনভিত্তিকে দমন করা যাবে না: এ কে আজাদ
সন্ত্রাস দিয়ে জনসমর্থন ও জনভিত্তিকে দমন করা যাবে না: এ কে আজাদ
জোবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ
জোবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ