সল্ট-ব্রুকের ঝড়, নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড


তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬৫ রানের বড় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ফিল সল্ট ও হ্যারি ব্রুকের ঝড়ে ২৩৬ রানের পাহাড় গড়ে সফরকারীরা। জবাবে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। ওপেনিংয়ে নামা ফিল সল্ট শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছন্দে ছিলেন। অন্যপ্রান্তে ৪ রানে আউট হন জস বাটলার। তবে তাতে ছন্দপতন ঘটেনি ইংলিশ ইনিংসে। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই তারা তোলে ৬৮ রান।
চার নম্বরে নামা অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক যোগ দেন সল্টের সঙ্গে। এই জুটি গড়ে তোলেন বিধ্বংসী পার্টনারশিপ। দুজনই ফিফটি ছুঁয়ে ইনিংস বড় করেন। শেষ দিকে টম ব্যান্টন ও স্যাম কারান দ্রুত রান তুলে স্কোর নিয়ে যান ২৩৬-এ, ৪ উইকেট হারিয়ে।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভয়ানকভাবে খারাপ করে নিউজিল্যান্ড। ১৮ রানেই দুই ওপেনার ফিরলে চাপে পড়ে দল। মার্ক চ্যাপম্যান (২৮) ও টিম সেইফার্ট (৩৯) জুটি গড়ে কিছুটা আশার আলো দেখালেও, দুজনই পরপর ওভারে আউট হয়ে গেলে ভেঙে পড়ে কিউই ব্যাটিং লাইনআপ।
আদিল রশিদের ঘূর্ণিতেই মূলত শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের লড়াই। তিনি একাই তুলে নেন চার উইকেট— যার মধ্যে মাইকেল ব্রেসওয়েল, জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারও ছিলেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল নিউজিল্যান্ডের জন্য এক বিব্রতকর রেকর্ড— তাদের ১০ ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন ক্যাচ দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ২৩৬/৪ (সল্ট ৮৫, ব্রুক ৭৮, ব্যান্টন ২৯*; জেমিসন ২/৪৭, ব্রেসওয়েল ১/৩৬)।
নিউজিল্যান্ড: ১৮ ওভারে ১৭১ (সেইফার্ট ৩৯, স্যান্টনার ৩৬, চ্যাপম্যান ২৮; রশিদ ৪/৩২, কার্স ২/২৭)।
ফল: ইংল্যান্ড ৬৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ