শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হোক


এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া
অনেক ছোট ছোট শব্দের ভিড়ে 'শিক্ষক' ছোট একটি শব্দ। যার গভীরতা অনেক। এর গভীরে লুকিয়ে আছে সভ্যতার ভিত্তি, মানবতার আলো এবং জাতির আত্মা। শিক্ষক কেবল পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, তিনিই মানুষ গড়ার শিল্পী, সমাজের নৈতিক দিকনির্দেশক ও জাতির নির্মাতা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—প্রতিটি উন্নত জাতির উত্থানের পেছনে ছিলেন একদল আলোকিত শিক্ষক, যারা জ্ঞান, চিন্তা ও নৈতিকতার আলো ছড়িয়ে প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন। আর সেই শিক্ষকরাই বিগত প্রায় দেড় সপ্তাহের বেশী সময় ধরেই যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন মাঠে। বহু শিক্ষক অনশন করছেন, তাদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে; শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির বিপরীতে এই পরিস্থিতি কি আমাদের কাম্য হতে পারে ? শিক্ষদের চলমান আন্দোলন শুধু একটি অর্থনৈতিক দাবি আদায়ের সংগ্রাম নয়। এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দীর্ঘদিনের অসংগতি ও অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। কালো পতাকা মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, শহীদ মিনার ও সচিবালয়ের পথে লংমার্চ, ভুখা মিছিল, অনশন—এসব কর্মসূচি স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে শিক্ষকেরা শুধু নিজের অধিকার আদায়ের জন্যই রাস্তায় নেমেছেন, তা নয়; বরং শিক্ষকের মর্যাদা এবং শিক্ষাদানের মান রক্ষার জন্য তাঁরা আন্দোলন করছেন।
"মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া আর পাঁচশ টাকা চিকিৎসা ভাতা। তাও আবার অধ্যক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের সুইপার একই। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যেখানে বেতনের চল্লিশ থেকে পয়তাল্লিশ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ পান সেখানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক পান হাজার টাকার থোক বরাদ্দ।" বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় বেসরকা্রী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। একটি আদর্শ সমাজ গঠন ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের মর্যাদাপূর্ণ বেতন কাঠামো সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। দেশের শিক্ষকেরা বহু বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি সুবিধার তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক সমতা থেকে বঞ্চিত। সরকারি আমলাদের গাড়ি, বাড়ি, অতিরিক্ত ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধার বিপরীতে শিক্ষক-কর্মচারীরা সামান্য মানবিক অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে বার বার। এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক বা সুবিধাবাদী আন্দোলন নয়; এটি শিক্ষকের ন্যায্য দাবি। এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় তেরো লক্ষাধিক শিক্ষক প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তাদের অনেকেই ন্যায্য বেতন, পেশাগত নিরাপত্তা ও সম্মান থেকে বঞ্চিত। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা নিবেদিত প্রাণ হয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের আত্মত্যাগই আজ শিক্ষাক্ষেত্রকে টিকিয়ে রাখছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সরকারের উচিত বাস্তব ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা। প্রথমত, সকল স্তরের শিক্ষকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ন্যায্য বেতন, আর্থিক নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। তৃতীয়ত, সমাজে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যম, পরিবার ও রাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগ গ্রহন প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও শিক্ষককে সম্মান করার মানসিকতা গড়ে তোলা অতিব জরুরি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে রাজধানীর কেন্দ্রবিন্দুতে। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা), দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার দাবি নিয়ে রাজপথে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা। শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, শহীদ মিনার এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ঘুরে বেড়ানো এই শিক্ষকরা দাবি আদায় করতে গিয়ে মার খেয়েছেন, হতে হয়েছে জেল জুলুমের শিকার। তবু তারা পিছু হটছেন না। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন সময় ধরেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় তাদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা অনেকাংশই কম। ফলে বর্তমান বাজারে তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। রাজধানী ঢাকার মতো শহরে যেখানে ছোট পরিবারের জন্য বাসা ভাড়া ১০-১২ হাজার টাকায় পৌঁছেছে, সেখানে ১৬ হাজার টাকার বেতন পাওয়া একজন শিক্ষক কীভাবে সংসার চালাবেন, সেটাই বর্তমানে বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।
বাংলাদেশে শিক্ষক সমাজের এ বাস্তবতা শুধু তাদের ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, এটি শিক্ষাব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে ক্রমে এমে দুর্বল করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষার মান ক্রমশ তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশ্বব্যাংকের চলতি বছরের প্রতিবেদনে দেতখা যায় যে, বাংলাদেশের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ৬.৫ বছরের সমতুল্য। অর্থাৎ শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মানে বাংলাদেশ অন্তত ৪.৫ বছর পিছিয়ে। শিক্ষাব্যবস্থার এই বেহাল দশার একটি বড় কারণ হলো শিক্ষা খাতে রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘দেশের শিক্ষাখাত খুবই অবহেলিত। শিক্ষদের যে স্কেলে বেতন দেওয়া হয় সেটি খুবই কম। পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষকরা কম বেতন পান। তবে তাদের সুযোগ-সুবিধার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করার দরকার নেই। এসব কাগজে-কলমেও করা যায়। কিন্তু রাস্তায় না নামলে কোনো দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ফলে এসব আন্দোলন নিয়মিত ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।’
শিক্ষকদের দাবি পূরনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানও এখনো স্পষ্ট নয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিদেশে থাকায় সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হচ্ছে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালেও কার্যকর পদক্ষেপ এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অথচ শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষকরা যখন রাস্তায়, শিক্ষার্থীরা তখন শ্রেণিকক্ষের বাইরে এমন পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। বাজেট বাস্তবায়ন চলমান থাকায় বড় ব্যয় অনুমোদনে কিছু জটিলতা থাকতে পারে, এটা যেমন সত্য তেমনই দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার মানুষদের ন্যায্য দাবি বারবার উপেক্ষা করাও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। দাবি আদায়ে যখন ঢাকায় চলছে নানা কর্মসূচি, তখন একই দাবিতে সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতিও চলছে। এমনই পরিস্থিতিতে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর রাস্তার আন্দোলনে শিক্ষকদের যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে, শিক্ষকদের দাবী আদায়ের এই আন্দোলন বিভিন্ন মহলের সমর্থন ও দৃষ্টি কেড়েছে। বিশেষ করে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর কয়েক দিন আগে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। তাদের প্রতি সংহতি ও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী-এনসিপি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সাংস্কৃতিক সংগঠন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা ও বৈষম্যের অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও তাদের কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজপথে নামতে দেখা গেছে। এ চিত্রের পরিবর্তন ঘটেনি।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকারের পক্ষ থেকে তা নিরসনে এখন পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়ার ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র প্রকাশের পর শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, এই ‘সামান্য’ ভাতা বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য লজ্জার। শতাংশের হারে বাড়িভাড়া চাওয়ার পেছনে তাঁদের আরেকটি যুক্তি হলো, এটি করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশেষ করে পরবর্তী নতুন বেতন স্কেল করার সময় তা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন চায় শতাংশের হিসেবেই বাড়িভাড়ার ভাতা বৃদ্ধি করা উচিত। এ জন্য ৫০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র দিলেও সেটি কার্যকরের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক আদেশ জারি করা থেকে বিরত থেকেছে। বরং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য চার ধরনের হার ঠিক করে তাতে কত টাকা লাগবে, তার প্রাক্কলন করে অর্থ বিভাগকে দিয়েছে। সেখান থেকে সরকারের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ বিভাগ যেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে, তার অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে দেশে ছয় লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। এসকল শিক্ষকরা সরকার থেকে মূল বেতনসহ কিছু ভাতা পান। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীরা দাবী করে আসছেন যে, তারা যে বেতন-ভাতা পান তা দিয়ে বর্তমান বাজারমূল্যে জীবনসংসার চালানোই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারকে ভাবতে হবে, শিক্ষকরা কোনো বিলাসিতা চান না; তারা চান শিক্ষকতা হোক সম্মানজনক জীবিকা, যাতে তারা নিশ্চিন্তে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনোযোগী হতে পারেন। সরকার যদি তাদের বিষয়ে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে এ আন্দোলন আরো বিস্তৃত হতে পারে এবং তার প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ওপর। ইতিমধ্যে দেখা গেছে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা হুমকি দিয়েছেন তাদের দাবি আদায় না করে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না। প্রয়োজনে আমরণ অনশন করবেন। তাই প্রয়োজন দ্রুত ও আন্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষকদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত ও সম্মানজনক সমাধান। যে শিক্ষকদের কাজ শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও সব সম্ভাবনার স্বাভাবিক বিকাশে নিজের সর্বাত্মকভাবে নিবেদিত রাখা, সেই সময় তাদের জীবন-জীবিকার যৌক্তিক বেতন-ভাতার জন্য রাস্তায় আন্দোলন-অনশন করতে হয় —এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষকতা পেশাকে সামগ্রিকভাবে উন্নত করা না গেলে, একটি ভালো পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্নরা এ পেশায় আসার ইচ্ছা হারাবে। যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও জাতির জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। যা শিক্ষার জন্য অত্যন্ত খারাপ বার্তা। যে দেশে শিক্ষকের মর্যাদা নেই, সে দেশ কখনো উন্নত, আধুনিক ও সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে না। যারা জাতি গড়ার কারিগর, তাদের প্রতি অবজ্ঞা ও বঞ্চনা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। জাতি হিসাবে আমাদের প্রত্যাশা, শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি ন্যায্য ও সময়োপযোগী করার লক্ষে সরকার দ্রুততম সময়ে একটি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করবে এবং বেসরকারি শিক্ষার অচলাবস্থা দূর করবে। সরকারের উচিত শিক্ষক–কর্মচারীদের দাবি যথাসম্ভব মেনে নেয়া। সকল দাবি পূরণ করা সম্ভব না হলেও, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত একটি সন্তোষজনক সমাধানের পথ বের করতে হবে। আলোচনার মধ্য দিয়েই পথ বের হবে এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক হবে এবং দেশের শিক্ষার মান রক্ষা পাবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রের ও সরকারের দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
(লেখক : রাজনীতিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক )
ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি
নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। ভিওডি বাংলা সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, ভিওডি বাংলা কর্তৃপক্ষের নয়।