জবা ফুলের চা: স্বাস্থ্যকর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট


ফুলকে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক বলা হয় না, বরং অনেক ভেষজ ও স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। জবা ফুল তার মধ্যে অন্যতম। ত্বকের যত্ন থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধে জবা ফুলের ব্যবহার দেখা যায়।
জবা ফুলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, ফেরুলিক এসিড এবং ভিটামিন সি, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই জবা ফুলের চায়ের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।
জবা ফুলের চায়ের উপকারিতা:
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:
জবা ফুলের চায়েতে অ্যান্থোসায়ানিন ও ভিটামিন সি থাকে, যা ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
২. হার্টের উন্নতি করে:
চায়ের প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক গুণ শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল হ্রাসে সহায়ক।
৩. হজমে সহায়ক:
জবা ফুলের চা হালকা ল্যাক্সেটিভ উপাদানযুক্ত, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
৪. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস হিসেবে এটি সর্দি, কাশি ও জ্বরের মতো সাধারণ রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
চায়া স্টার্চ ও গ্লুকোজ শোষণ কমাতে সাহায্য করে, ক্ষুধা দমন করে ও অতিরিক্ত চর্বি জমা কমায়।
৬. প্রদাহ কমায়:
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগের কারণে আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট ব্যথার মতো প্রদাহজনিত সমস্যায় উপকারী।
৭. লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
লিভারের এনজাইম উৎপাদন বাড়িয়ে শরীরের টক্সিন দূর করে, ফলে লিভার আরও কার্যকরভাবে কাজ করে।
জবা ফুলের চা বানানোর পদ্ধতি:
একটি বাটিতে চার কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে এক কাপ শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি দিন। ৫–১০ মিনিট ফুটানোর পর মধু বা চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। স্বাদ বাড়াতে লেবুর ফালি যোগ করতে পারেন।
ভিওডি বাংলা/জা