• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৩ এ.এম.
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির ১৫ সেনা কর্মকর্তা - ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গুমের অভিযোগে করা দুটি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর এবং রামপুরায় গণহত্যার মামলার শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করেছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এখন কোন কারাগারে রাখা হবে, তা নির্ধারণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ।”

সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। সাড়ে ৭টার দিকে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার নাম:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এবং কর্নেল কেএম আজাদ।

প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, “যদি আসামিরা হাজির না হন, তাহলে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। হাজির হলে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী কারাগারে পাঠানো হবে।”

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক ঘরানার ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করে প্রসিকিউশন।

গত ৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেয়।

অন্যদিকে, জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা ‘আয়নাঘর’-এ গুমের অভিযোগে হাসিনা-তারিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে বিজিবির কর্মকর্তা লে. কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।

সব মিলিয়ে তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তা আসামি হিসেবে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে সেনা সদর থেকে জানানো হয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোন কারাগারে রাখা হবে, জানালেন চিফ প্রসিকিউটর
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোন কারাগারে রাখা হবে, জানালেন চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে