শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সকালে তিন মামলার ওপর শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর জানান, তিন মামলার মোট ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর মধ্যে টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ আসামির ১০ জনকে হাজির করা হয় এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
জেআইসি বা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের গুমের অভিযোগে আরেক মামলায় ১৩ আসামির তিনজনকে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও একই আদেশ দেওয়া হয় এবং বাকি পলাতকদের নাম প্রকাশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার দায়ে দায়ের করা মামলায় হাজির হওয়া দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। পলাতক আসামিদের জন্যও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০ নভেম্বর টিএফআই ও জেআইসি মামলার পরবর্তী শুনানি এবং ৫ নভেম্বর রামপুরা হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৮ অক্টোবর তিন মামলায় মোট ৩৪ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দুটি মামলায় শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। সেনাবাহিনীর ২৫ কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে পরে হেফাজতে নেওয়া হয়।
এদিন সকালে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল, পল্টন ও হাইকোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা ছিল সতর্ক অবস্থায়।
ভিওডি বাংলা/জা





