তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চলছে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আপিল বিভাগের তৃতীয় দিনের শুনানি চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।
এর আগে গতকাল দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত এই আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর। এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ।
এরপর বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজন করা হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রিটকারীরা। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
এরপর সরকার ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে, যা ৩ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে ২০২4 সালের ৫ আগস্ট সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। একইভাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গত বছরের ২৩ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
ভিওডি বাংলা/জা
